বাংলাদেশে আমেরিকাভিত্তিক পোশাক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স এ পর্যন্ত রপ্তানিমুখী ১৬৪টি গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে এসব কারখানা অ্যালায়েন্সের আওতাভুক্ত ২৯টি ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে পারবে না। ওয়ালমার্ট, জেসি পেনি, গ্যাপ, ভিএফ, টার্গেট, সিয়ার্স হোল্ডিং, চিলড্রেন্স প্লেসসহ নামকরা অনেক ব্র্যান্ডের সঙ্গেই ব্যবসা করা যাবেনা। কারখানা সংস্কারে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়া এবং অ্যালায়েন্সকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যালায়েন্স। অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এছাড়া গত এক মাসে ১৩টি কারখানাসহ এ পর্যন্ত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে অ্যালায়েন্সভুক্ত প্রায় আড়াইশ’ কারখানা।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিথে ওই বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়কারী ২৮টি ব্র্যান্ডের সমন্বয়ে অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। ব্র্যান্ডগুলোর বেশিরভাগই আমেরিকাভিত্তিক। এসব ব্র্যান্ডের কাছে পোশাক রপ্তানিকারক প্রায় ছয়শ’ কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পরীক্ষা করে সংস্কারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পাঁচ বছর ধরে সংস্কারের এ কার্যক্রম চালাবে অ্যালায়ন্স। আগামী বছরের নভেম্বরে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর পর এ কার্যক্রম সরকার গঠিত সংস্কার সমন্বয় সেলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অ্যালায়েন্স ছাড়াও ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত অ্যাকর্ড নামে একটি পরিদর্শন জোট কাজ করছে। ওই জোটের আওতাভুক্ত কারখানার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
বাংলাদেশে অ্যালায়েন্সের নির্বাহি পরিচালক ও ঢাকায় দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত জিম মরিয়ার্টি বলেন, ২০১৮ সালে অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগেই সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে বলে বিশ্বাস রয়েছে। একই সঙ্গে অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংস্কারকাজকে অগ্রাধিকার প্রদানে ব্যর্থ কারখানার বিষয়ে অ্যালায়েন্স কোন আপস করবে না।