পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক উত্তর আমেরিকার ক্রেতাজোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটির তত্ত্বাবধানে গতকাল পর্যন্ত ২৪৭ কারখানার শতভাগ ত্রুটি সংশোধনের কাজ শেষ হয়েছে। শুধু গেল নভেম্বরে ত্রুটি সংশোধন হয়েছে ১৩টি কারখানার। অনুমোদিত সংস্কার পরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী ত্রুটি সংশোধনের সনদ পেয়েছে এসব কারখানা। তবে এ সময় ক্যাপ অনুযায়ী ত্রুটি সংশোধনে ব্যর্থ পাইনারি টেক্সটাইলের সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্সভুক্ত ক্রেতারা। এ নিয়ে অ্যালায়েন্সের তালিকা থেকে বাদ পড়ল ১৬৪ কারখানা। এসব কারখানা জোটের কোনো ক্রেতার রফতানি আদেশ আর পাবে না। অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অ্যালায়েন্সের এক বিবৃতিতে ত্রুটি সংশোধিত কারখানা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান জোটের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, নিজেদের শ্রমিকের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করায় আলাদা করে প্রত্যেক কারখানার মালিককে তারা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে ত্রুটির বড় অংশ সংশোধনের কাজ শেষ করার বিষয়ে এখনও তারা আশাবাদী এবং মেয়াদ শেষেও এ দেশের পোশাক খাতের সংস্কার কাজ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন মরিয়ার্টি।
ত্রুটি সংশোধন হওয়া নতুন কারখানার তালিকায় রয়েছে অবনি নিটওয়্যার, অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি, চেকপয়েন্ট সিস্টেম বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ওয়াশ, জিবি বাংলাদেশ, ন্যাটকো গ্লোবাল প্যাকেজিং, রিসাল গার্মেন্টস, রোয়া ফ্যাশন, সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, সিমবা ফ্যাশন স্ট্যান্ডার্ড স্টিচ, (ওভেন ইউনিট) তারাসিমা অ্যাপারেলস ও উইনসাম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড।