চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নবেম্বর) দেশের পণ্য রফতানি আয় হয়েছে এক হাজার ৪৫৬ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার, যা আলোচিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।
এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৪৪৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য ওঠে এসেছে। তথ্য বলছে চলতি অর্থবছরের এ পাঁচ মাসে বরাবরের মতো তৈরি পোশাক খাত থেকে সর্বোচ্চ রফতানি আয় হয়েছে। নিট ও ওভেন মিলিয়ে এ আয়ের পরিমাণ এক হাজার ১৯৬ কোটি ডলার, যা পাঁচ মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় আসে নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্ট এ দুটি মাধ্যম থেকে।
এর মধ্যে নিটওয়্যার থেকে জুলাই-নবেম্বরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৮২ কোটি ২১ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬২৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ আয় বেশি হয়েছে। আর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় বেশি হয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ৫৬৩ কোটি ২৭ লাখ ডলার।
আর ওভেন গার্মেন্ট থেকে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৫৭১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ তৈরি পোশাক খাতের দুটি মাধ্যমের মধ্যে নিটওয়্যার থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি আয় হলেও ওভেন গার্মেন্টের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মাত্র ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম হয়েছে। তবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে নিটওয়্যার থেকে রফাতানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে রফাতানি আয় হয়েছিল ৫৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। শুধু গত নবেম্বরে মোট ৩০৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছে। যা নবেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর গত বছরের জানুয়ারি থেকে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে রফতানি আয় হয়েছিল ২৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।