তৈরি পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির তদারকিতে থাকা ৩০১টি কারখানা অনুমোদিত সংস্কার পরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী শতভাগ সংস্কার কাজ শেষ করেছে। গেল ডিসেম্বর মাসেই সংস্কার শেষ করেছে ৫৪টি কারখানা। আরও বেশ কিছু কারখানার সংস্কার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব কারখানার ৮৭ শতাংশ সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। এ অগ্রগতিতে উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করা হয়েছে অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে।
মূলত গত তিন মাসেই অগ্রগতি হয়েছে চোখে পড়ার মতো। এ সময় অ্যালায়েন্সের ২০৯টি কারখানার সংশোধনের কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার শুরু হওয়ার তিন বছর পর ত্রুটি সংশোধিত কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৯২। গত দুই মাসে একটি কারখানাও সংস্কারে অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতার কারণে জোট থেকে বাদ পড়েনি। এ ব্যর্থতার কারণে ১৬৪ কারখানা অ্যালায়েন্সের তালিকা থেকে বাদ পড়ে। এসব কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অ্যালায়েন্সের ক্রেতারা।
গতকাল সোমবার অ্যালায়েন্সের এক বিবৃতিতে জোটের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড অর্জনে তিন শতাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষের কঠোর পরিশ্রম প্রশংসার দাবি রাখে। এ অগ্রগতি ২০১৮ সালের জন্য একটি বিশেষ পরিবেশ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা সংস্কৃতি গঠনে অ্যালায়েন্সের মিশনকে আরও শক্তিশালী করেছে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক খাতের নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়নে একই বছরের জুনে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন, খুচরা ক্রেতা ও ব্র্যান্ডের সমন্বয়ে অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। বিশ্ববিখ্যাত ওয়ালমার্ট, জেসিপেনি, টার্গেটের মতো ২৯টি ব্র্যান্ড রয়েছে এ জোটে। জোটের ক্রেতাদের পোশাক সরবরাহ করে এমন ৬০০ কারখানার প্রাথমিক পরিদর্শনে চিহ্নিত ত্রুটি এখন সংশোধনের কাজ চলছে। একই উদ্দেশ্যে একই বছরে গঠিত হয় অপর ক্রেতা জোট ইউরোপের অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ বা অ্যাকর্ড। আগামী জুনে এই দুই জোটের ৫ বছরের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তবে অ্যাকর্ড দ্বিতীয় মেয়াদে আরও তিন বছর এ দেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু উদ্যোক্তারা কোনোভাবে বর্ধিত মেয়াদ চান না।