বিজিএপিএমইএ প্রথমবারের মতো গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং সেক্টরের রপ্তানিকারদের উৎসাহিত করতে রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ) প্রদান করেছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানির হিসাব অনুযায়ী ৪টি ক্যাটাগরিতে (ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ ও সরাসরি রপ্তানি) ১২ জন উদ্যোক্তাকে এ ট্রফি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ পুরস্কার হিসেবে একজন নারী উদ্যোক্তাকে এ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সর্বমোট ৪০টি আবেদনপত্রের ভিত্তিতে উদ্যোক্তাদের বাছাই করা হয়েছে।
গত শনিবার গ্যাপেক্সপো-২০১৮ মেলার সমাপনী দিনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বিজিএপিএমইএ এক্সপোর্ট ট্রফি বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূইয়া, এনডিসি, এফবিসিসিআই এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত নয় বছর ধারাবাহিকভাবে পরিচালনার কারণেই দেশের আজ এ উন্নয়ন। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে ১৬ হাজার ৪৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সফলতা দেখিয়েছে। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এ বছরের শেষে দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১৬১০ মার্কিন ডলার, শিক্ষার হার ৭১ ভাগ, গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৩ বছর, আর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ ভাগ হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ অনেক বড় প্রকল্প বর্তমান সরকার শুরু এবং শেষ করছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের মধ্যে ২৮তম এবং ২০৫০ সালে ২৩তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে সফল হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণায় বলা হয়েছে ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য খুবই উজ্জ্বল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।