দেরিতে হলেও গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সেই সঙ্গে প্রতিবারের মতো এবারও মজুরি বোর্ডে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের নেতারা।
গতকাল কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার এক বিবৃতিতে এই স্বস্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে জানানো হয়, ১৬ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরির দাবিতে আগামী ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সংহতি সমাবেশ করবে।
প্রসঙ্গত; ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র শ্রমিক সমাবেশ থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মজুরি বোর্ড গঠনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মালিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গার্মেন্ট শিল্পের নিম্নতম মজুরি বোর্ড ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রতিবারই নিম্নতম মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে সরকার দলীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মনোনীত করা হয়। যারা কখনই শ্রমিক স্বার্থের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হন না। ফলে মালিক পক্ষের চরম আধিপত্বই হয় মজুরি বোর্ডের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য। এবারও মজুরি বোর্ডে মালিক পক্ষের একক আধিপত্বের আশঙ্কা ব্যক্ত করে নেতারা মজুরি বোর্ডে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য, যুক্তিসঙ্গত এবং বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি না পাওয়ায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিম্নতম ১৬ হাজার টাকা মোট মজুরির দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র দুই বছরের অধিক সময় ধরে আন্দোলন করে আসছে। সে আন্দোলনে ইতোপূর্বে শ্রমিকদের ওপর চরম দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। এতদিন পর যখন মজুরি বৃদ্ধির উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে তখন আর কোন ধরনের বিলম্ব কাম্য নয়। মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা এবং গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের নিম্নতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা এবং মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানান তারা।