পোশাক কারখানার শনাক্ত হওয়া ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ২০ লাখ ডলার দিতে হবে বহুজাতিক দুই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলার পর সমঝোতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের ১৫০টি কারখানাকে এ অর্থ দিতে রাজি হয়েছে তারা। ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়নের এক বিবৃতি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের দুই বহুজাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন ও মামলা করে দুটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন। ইউনিগ্লোবাল ইউনিয়ন ও ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়নের আনা অভিযোগে বলা হয়, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিসংক্রান্ত ত্রুটি সংশোধনে অগ্রগতি না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কারখানা থেকে পোশাক কিনছে দুটি ব্র্যান্ড ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। আবার এসব কারখানার শনাক্ত হওয়া ত্রুটি যথাযথভাবে সংশোধনের জন্য অর্থ সহায়তা দেয়ার মতো কোনো পদক্ষেপও নেয়নি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান দুটি।
প্রায় দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে তোলা এ অভিযোগ সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় আসতে পেরেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। সালিশি আদালতের মাধ্যমে সংঘটিত এ সমঝোতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্রেতা দুই প্রতিষ্ঠানকে পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশের ১৫০টি কারখানা ২০ লাখ ডলার পাবে। সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী, অভিযুক্ত দুই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেনি আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনগুলো। সমঝোতা অনুযায়ী, মোট ২৩ লাখ ডলার দেবে দুই ক্রেতা প্রতিষ্ঠান, যার ২০ লাখ ১৫০টি কারখানা ও বাকি ৩ লাখ ডলার পাবে দুই শ্রমিক সংগঠন।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা হয় ইউরোপীয় ক্রেতা ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট অ্যাকর্ড। এতে স্বাক্ষর করে দুই শতাধিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। অ্যাকর্ডের চুক্তি অনুযায়ী, কারখানার ত্রুটি সংশোধনে এ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন সহযোগিতা দেয়ার কথা। এ শর্তের ভিত্তিতেই শ্রমিক সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে অভিযোগ তোলা হয়। সালিশি আদালতে সমঝোতা নিষ্পত্তির পর দেয়া বিবৃতিতে অভিযুক্ত দুই ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেনি ইন্ডাস্ট্রিঅল গ্লোবাল ইউনিয়ন।