তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি হিসেবে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানই থাকছেন। সম্প্রতি সংগঠনটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ মার্চ বিজিএমইএর ৩৫ পরিচালক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। বিজিএমইএ ভবন স্থানান্তরসহ অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিষয়গুলো সামনে থাকায় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আরো এক বছরের জন্য বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বিজিএমইএর বর্তমান কমিটিই দায়িত্ব পালন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ সূত্র জানায়, সরকার তৈরি পোশাক খাতের নানা সংকটের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আরো এক বছরের জন্য বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বর্তমান কমিটি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিজিএমইএর বর্তমান কমিটি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংগঠন পরিচালনা করবে, বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিয়েছে। ফলে পোশাক খাতের চলমান সংকট থেকে বের হয়ে আসতে আরো কার্যকর উদ্যোগ নিতে এটি সহায়ক হবে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হবে।
জানা যায়, সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজিএমইএর বর্তমান এবং সাবেক সভাপতিরা। ওই বৈঠকে সভাপতি পদে থাকার সবুজ সংকেত পান সিদ্দিকুর রহমান। তবে আরো আগেই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তিনি এমন ইঙ্গিত পেয়েছিলেন।
বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা এবং শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোসহ নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে পোশাক খাতের এ সংগঠনটির সামনে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। এসব বিষয় চিন্তা করেই সিদ্দিকুর রহমানকে নির্বাচন পর্যন্ত সভাপতি পদে রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আগামী মার্চে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন এমন আলোচনায় এসেছিলেন রূপা গার্মেন্টের এমডি শহীদুল ইসলাম। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজিএমইএ সদস্যদের দুই জোট-ফোরাম এবং সম্মিলিত পরিষদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি হবেন তিনি। এ ছাড়া স্বাধীনতা ফোরাম নামের আরেকটি মোর্চা তৈর হয় বিজিএমইএ নির্বাচনের জন্য। ওই ফোরাম রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেয় তারা বিজিএমইএর আগামী নির্বাচন প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তবে সব জল্পনা-কল্পনা ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত আগের কমিটিই বহাল থাকছে।