যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে জার্মানি আবারও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) একক দেশ হিসেবে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের পোশাক রফতানি হয়েছে। এর আগেও গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যায় জার্মানি। তবে অর্থবছর শেষে আবার যুক্তরাষ্ট্রই শীর্ষে উঠে আসে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় জার্মানিতে পোশাক রফতানি বেশি হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি ডলার। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে ২৬০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। জার্মানিতে হয় ২৬৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
আলোচ্য সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের ওভেন (শার্ট, প্যান্ট) ক্যাটাগরিতে আয় কমেছে আগের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ কোটি ডলার কমে হয়েছে ১৮৮ কোটি ডলার। অবশ্য নিট (গেঞ্জি জাতীয় পোশাক) ক্যাটাগরিতে রফতানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। ৬৫ কোটি ডলার থেকে বেড়ে রফতানি হয়েছে ৭২ কোটি ডলার। অন্যদিকে জার্মানিতে নিটের রফতানি বেড়েছে ১১ শতাংশ। ১৪৭ কোটি ডলার থেকে বেড়ে রফতানি হয়েছে ১৬৩ কোটি ডলার নিট পণ্য। যদিও জার্মানিতে ওভেনের রফতানি কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। ১১৬ কোটি ডলার থেকে রফতানি কমে হয়েছে ১০৩ কোটি ডলার।
পোশাক রফতানির প্রথম থেকে একক বাজার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশের প্রধান বাজার। এক সময় মোট পোশাক রফতানির ৩৮ শতাংশ আসত যুক্তরাষ্ট্র থেকে। কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাকের মোট রফতানির প্রায় ২১ শতাংশ গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। পরের বছর যায় ২০ শতাংশ। গত অর্থবছরে কমে হয় ১৭ শতাংশ। একই সময়ের তুলনায় রফতানি কিছুটা বৃদ্ধির ফলে চলতি অর্থবছরের গত ছয় মাস শেষে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ এখন ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।