চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়া রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত্ম এই শিল্প ৬২ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৫ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা রপ্তানি করে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ২১ শতাংশ কম।
রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২৩ কোটি ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এই খাতের লক্ষমাত্রা নির্ধারিত ছিল ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার।
ইপিবি সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাঁচা চামড়া রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ রপ্তানি আয় হয়েছে ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। গত অর্থবছরে জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কাঁচা চামড়া রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায়ও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়ার রপ্তানি আয় ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমেছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ২০ কোটি ৯৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এ খাতের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার। আয় হয়েছে ২১ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। তবে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।