পোশাক খাতের ভিত শক্ত করতে তুলার উৎপাদন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। রাজধানীর রেডিসন হোটেলে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল কটন সামিটে এটিই ছিল আলোচনায়।
যেখানে ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের তুলা ব্যবসায়ী এবং প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এই আয়োজন আমদানি-রফতানিকারকদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছে বলে জানায় বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশন। তুলা থেকে সুতা আর তা থেকে তৈরি পোশাক। আর এই তৈরি পোশাকই দাঁড় করিয়েছে দেশের অর্থনীতি এবং বিশ্বকে চিনিয়েছে নতুন বাংলাদেশ। অথচ, দেশের ভেতর থেকে তৈরি পোশাকের এই কাঁচামালের যোগান আসে চাহিদার মাত্র তিন শতাংশ। আর বাকিটা নির্ভর করতে হয় আমদানির উপরই।
এমন বাস্তবতায় রাজধানীর রেডিসন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় গ্লোবাল তুলা সম্মেলন। যেখানে ভারত, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের ১৯টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে। তাই বিশ্বের শীর্ষ তুলা আমদানিকারক এই দেশের বাজারকে ঘিরে আগ্রহটাও একটু বেশিই রফতানিকারকদের বলে জানান বাংলাদেশে কটন এ্যাসোসিয়শনের পরিচালক।
স্পিনিং মিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও তুলা কেনাবেচায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দেশের তুলার খোঁজ-খবর নিতে পদচারণা দেখা যায় সম্মেলনে। এ ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে তুলা আমদানি আরও সহজলভ্য হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। চলতি অর্থবছরে তুলার আমদানি ৭০ লাখ বেলে পৌঁছাবে বলে জানায় বাংলাদেশ কটন এ্যাসোসিয়েশন।