উন্নত বিশ্বে স্মার্ট পোশাকের বাজার বাড়ছে। ২০২৫ সালে প্রযুক্তিনির্ভর এসব পোশাকের বাজার ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। সে জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অবস্থান পোক্ত করতে হলে উদ্যোক্তাদের স্মার্ট পোশাক উৎপাদনে যেতে হবে।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল সোমবার আয়োজিত ফ্যাশন ও প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘বাংলাদেশ ফ্যাশনোলজি সামিটে’ এসব কথা বলেন বক্তারা। একই সঙ্গে তাঁরা বলেছেন, পোশাক রপ্তানির বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ভবিষ্যতে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। বাড়াতে হবে উৎপাদন সক্ষমতা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা, ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, দূতাবাস ও দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। সম্মেলনে চারটি সেমিনার হয়। এতে বক্তা হিসেবে ছিলেন জুকি করপোরেশন জাপানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার সুচি উতেনা, ইউনিভার্সাল রোবটসের প্রদীপ ডেভিড, লি অ্যান্ড ফাংয়ের নির্বাহী সহসভাপতি সুনীল শেকরমানি, আইবিএম রিসার্চের রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ভিকাশ রয়কর, ইলেকট্রিক রানওয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমেন্দা কসকো, ফ্যাশনরাড ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক মুচায়েন্তা কাফুন্দি প্রমুখ।
দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ পর্বে স্মার্ট পোশাকের ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ভারতের ফ্যাশন ডিজাইনারদের প্রযুক্তিনির্ভর পোশাক প্রদর্শন করা হয়। এসবের মধ্যে এলইডি বাতিযুক্ত পোশাক ছিল। মানুষের কথা কিংবা শব্দের সঙ্গে সঙ্গে সেই বাতির রং পরিবর্তন হয়। আবার এলইডি বাতির এক জোড়া বিশেষ পোশাক ছিল। পোশাক দুটির মধ্যে দূরত্ব বাড়লে বাতির রং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হয়। এ ছাড়া থ্রি-ডি প্রিন্টসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির পোশাক পরে মডেলরা র্যাম্পে হাঁটেন।
অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ে আমরা ৫০-৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে চাই। তবে প্রযুক্তিনির্ভর ভ্যালু অ্যাডেড (দামি) পোশাক উৎপাদন ছাড়া সেই জায়গায় যাওয়া যাবে না। তাই দেশের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের এসব প্রযুক্তি ও পণ্যের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতেই সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়েছে।’