গত বছরের ৮ নভেম্বর শুরু হয় পোশাক খাতে মজুরি পর্যালোচনার প্রক্রিয়া। দুই মাস পর ঘোষণা আসে পর্যালোচনাকারী নতুন মজুরি বোর্ডের। এর তিন মাস পর আজ প্রথম সভায় বসতে যাচ্ছেন নবগঠিত বোর্ডের সদস্যরা। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি হারের সুপারিশসংক্রান্ত বোর্ডের প্রথম সভা আজ দুপুর ১২টায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
পোশাক শিল্পের মজুরি কাঠামো সর্বশেষ পর্যালোচনা হয় ২০১৩ সালে। ওই বছরের ডিসেম্বরে নতুন মজুরি কাঠামোর ঘোষণা দেয়া হয়। শ্রম আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর পরপর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা করতে হবে। এ বিধান বিবেচনায় আইনি সীমা অতিক্রমের আগেই গত বছরের নভেম্বরে পোশাক শিল্পের মালিকপক্ষই মজুরি পর্যালোচনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারির মধ্যভাগে বোর্ড ঘোষণা করা হয়।
আইন অনুযায়ী, বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে মজুরি পর্যালোচনার পর সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানোর বিধান রয়েছে। এ বিধান বিবেচনায় জুনের মধ্যে নতুন কাঠামো ঘোষণা হওয়ার কথা। এরই মধ্যে তিন মাস পেরিয়ে গেছে। আইনের বিধান বিবেচনায় পর্যালোচনার পর নতুন কাঠামোর সুপারিশের জন্য আর তিন মাস বাকি রয়েছে।
মজুরি বোর্ডের এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, আইন অনুযায়ী যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে মজুরি সুপারিশের সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই তিন মাসের মধ্যে পর্যালোচনা শেষ না হলে সময় বৃদ্ধির সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন বোর্ড সদস্যরা।
ছয় সদস্যবিশিষ্ট পোশাক শিল্পের চতুর্থ মজুরি বোর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। মালিকপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছেন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া। বাকি তিন সদস্য হলেন নিরপেক্ষ প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শ্রম উপদেষ্টা কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ ও শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।