সবুজ শিল্পায়নে অগ্রগামী ১৩ পোশাক কারখানাকে সম্মাননা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এবং গ্রিন বিজনেস সার্টিফিকেশন ইনকরপোরেট (জিবিসিসিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার কারখানাগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এসব কারখানা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সবুজ শিল্পায়ন কার্যক্রমের সূচক লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইনের (লিড) মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি প্লাটিনামপ্রাপ্ত।
যেসব কারখানা নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা করে ভবন নির্মাণ এবং উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে সেগুলোকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কঠিন মান যাচাই প্রক্রিয়া শেষে এ সনদ দেয় ইউএসজিবিসি। দেশের মোট ৬৭ কারখানা লিড সনদ পেয়েছে। আরও ২৮০টি সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
সম্মাননা পাওয়া কারখানাগুলো হচ্ছে- রেমি হোল্ডিং, তারাসিমা অ্যাপারেলস, প্লামি ফ্যাশনস, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও, কলম্বিয়া ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ইকোটেক্স এসকিউ সেলসিয়াস, কানিজ ফ্যাশন, জেনেসিস ওয়াশিং, জেনেসিস ফ্যাশনস, এসকিউ বিরিকিনা, এসকিউ কোল ব্লাঙ্ক ও এনভয় টেক্সটাইলস।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ইউএসজিবিসির এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপালা কৃষ্ণনান পাদনামাভন ও বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ১৩ কারখানা মালিকের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর রফতানিতে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা থাকার কথা নয়। এ সুবিধা বজায় রাখতে চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য পোশাক খাতের প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে হবে। পোশাক খাতের পরিবেশের বিশ্বস্বীকৃতি সত্ত্বেও অনেকে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ধরনের প্রচারণার বিপরীতে ব্র্যান্ড সুনাম বৃদ্ধিতে বিজিএমইএকে দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতের আজকের শক্ত অবস্থানের পেছনে এ খাত বিকাশের শুরুর দিকে যারা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে অবদান রেখেছেন, তাদের স্বীকৃতির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আশা করেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারখানা সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি নির্ধারণকে সামনে রেখে অনেকে শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নূ্যনতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিন। শ্রমিকদের প্রয়োজন এবং শিল্পের সামর্থ্য বিবেচনায় মজুরি নির্ধারণ হবে বলে আশা করেন তিনি।
ইউএসজিবিসির প্রতিনিধি বলেন, সবুজ কারখানা তৈরিতে সারা বিশ্বে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারতে প্লাটিনাম কারখানার সংখ্যা মাত্র তিন। ২০টি আছে পাইপলাইনে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইউএসজিবিসির উদ্যোগকে সহযোগিতা করায় উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি, মোহাম্মদ নাছির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।