চামড়া শিল্পের রপ্তানি ভবিষ্যতে গার্মেন্ট শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, চামড়া শিল্প ছাড়াও ওষুধ, প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, হালকা প্রকৌশল শিল্পের খাতগুলো যে বিকাশের ধারায় আছে, এগুলোকে বাড়তি সেবা দিলে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিকাশ বিস্তৃতি হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় ক্ষুদ্র ও কুটির প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (স্কিটি) অডিটরিয়ামে বিসিকের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিকের পরিচালক (উ. ও স.) জীবন কুমার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান, বিসিক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, সচিব এবং বিসিক প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক পরিচালক, জেলা প্রধান, প্রকল্প পরিচালক, শিল্প নগরী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিসিক একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। বিগত ৬১ বছর ধরে দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন নতুন শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টি, শিল্প নগরী ও শিল্পপার্ক স্থাপন, শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে বিসিক দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ গতিধারাকে বেগবান করার জন্য দেশের ১০০ ইকোনমিক জোনে যে অঞ্চলে বিসিক শিল্প নগরী নেই সে ইকোনমিক জোনে বিসিকের নামে শিল্পপার্ক গড়ে তোলার সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় এনে বিসিককে শিল্প স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিসিকের চামড়া শিল্প নগরী একটি আন্তজার্তিক মানের শিল্প নগরী। চামড়া শিল্পের রপ্তানি ভবিষ্যতে গার্মেন্ট শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া ওষুধ, প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, হালকা প্রকৌশল শিল্পের খাতগুলো যে বিকাশের ধারায় আছে, এ শিল্পগুলোতে বাড়তি সেবা দিলে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ শিল্পের বিকাশ বিস্তৃতি হবে। আমাদের মৌলভীবাজারের আগর উড দিয়ে আগর শিল্প বিকাশের জন্য বিসিককে আগর শিল্পপার্ক স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ঐতিহ্যের পথ পাড়ি দিয়ে বিসিকের কৌশলী ভূমিকার ফলে জিডিপিতে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প খাতের অবদান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের এ স্বীকৃতি আমাদের অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রতিফলন। বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির ফলে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান বেড়েই চলেছে।
শিল্প সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বিসিক প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এদেশের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নানাবিধ সেবা-সহায়তা দিয়ে আসছে।