দেশে তৃতীয়বারের মতো পালিত হলো জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস। গতকাল শনিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ১০টি তৈরি পোশাক কারখানাকে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি উত্তম চর্চায় পুরস্কার দেওয়া হয়।
গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের গার্মেন্টশিল্প আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে। জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি বিষয়ে শ্রমিক-মালিকের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার দিবসটি উদ্যাপন করছে।
মুজিবুল হক বলেন, মালিক-শ্রমিকের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে অনেক সময় শিল্প-কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটে। কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে মালিক-শ্রমিককে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
কারখানার নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপন করে আসছে। শিল্প ক্ষেত্রে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ ২০১৬ সাল থেকে দিবসটি পালন করছে।
অনুষ্ঠানে ১০টি গার্মেন্ট কারখানাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলো হলো স্কয়ার ফ্যাশন, রোয়েটেক্স আউটার ওয়্যার, ইকোটেক্স, তারাসিমা অ্যাপারেলস, ভিয়েলাটেক্স, একেএইচ ইকো অ্যাপারেলস, নিট কনসার্ন, উইজডম অ্যাটায়ার্স, হুপ লুন অ্যাপারেলস ও ফকির ফ্যাশন লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্ব রপ্তানির ৬ শতাংশ রপ্তানি করে থাকে। পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ ২০২১ সালে বিশ্বে মোট গার্মেন্ট রপ্তানির ২৫ শতাংশ রপ্তানি করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. শামসুজ্জামান ভূঁইয়া, বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর সভাপতি ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিপন্টেইন, আইএলওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি গগন রাজভাণ্ডারী, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।