রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙাসহ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আরও এক বছর সময় পেয়েছে সংগঠনটি। এক বছর সময় দেওয়া হলে ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না বলে—বিজিএমইএর দেওয়া এমন অঙ্গীকার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ আজ সোমবার ওই আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
ভবন ভাঙাসহ এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ছয় মাস ও সাত মাস সময় পেয়েছিল সংগঠনটি। এবার এক বছর নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সময় পেল সংগঠনটি।
আদালতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)র পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম । তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিজিএমইএ আবেদন করে, যা গত বছরের ৫ মার্চ খারিজ হয়। পরে কার্যালয় অন্যত্র সরাতে দুবার সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। দ্বিতীয় দফায় করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৮ অক্টোবর আপিল বিভাগ সাত মাস সময় দেন, যার মেয়াদ ১২ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। এ অবস্থায় ৪ মার্চ আরও এক বছর সময় চেয়ে বিজিএমইএ ওই আবেদনটি করে, যা ২২ মার্চ চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত ২৫ মার্চ আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। ধার্য তারিখে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আদেশের জন্য ২৭ মার্চ দিন রেখেছিলেন।
সেদিন সর্বোচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন, রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ভবন ভাঙতে ভবিষ্যতে আর সময় চাইবে না বলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএকে মুচলেকা দিতে হবে। তবেই সময় চেয়ে সংগঠনটির করা আবেদন বিবেচনা করা হবে।