জাপানের বাজারে বাংলাদেশের নিটওয়্যার পণ্য রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দূর হয়েছে। দেশটির মিনিস্ট্রি অব ইকোনমি, ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (মেটি) সঙ্গে বিকেএমইএ’র মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় নিটওয়্যার পণ্যের জন্য বিদ্যমান ওয়ান স্টেজ জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এর ফলে জাপান অন্য বাণিজ্যকারী দেশগুলোর সঙ্গে সিপিটিপিপি স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশের নিটওয়্যার পণ্য দেশটির বাজারে রফতানি কমে যাওয়া নিয়ে সংশয় সম্পূর্ণভাবে দূর হল। বৃহস্পতিবার বিকেএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জাপানের টোকিও’র বিগসাইটে ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড ২০১৮ মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশটির ক্রেতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলভ চৌধুরীর পাঠানো এ বার্তায় দাবি করা হয়, আশা করছি ২০২০ সালের মধ্যে জাপানের বাজারে প্রায় ২৫ শতাংশ রফতানি বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করে পাওয়া ২৫ মিলিয়ন ডলারের স্পট এক্সপোর্ট অর্ডার এমন সম্ভাবনার কথাই জানান দিচ্ছে। বিকেএমইএ জানায়, আগামী ২০২০ সালের ২০ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত জাপানে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এটি একটি বিশাল আন্তর্জাতিক ইভেন্ট এবং এ আয়োজনের কারণে জাপানে একদিকে প্রচুর দর্শনার্থী আসবে। একই সঙ্গে তাদের বিশাল পরিমাণ নিটওয়্যারের বেসিক পণ্য (টি-শার্ট, পলো শার্ট, সোয়েটার ইত্যাদি) প্রয়োজন হবে। বিকেএমইএ মনে করে, এ অলিম্পিক গেমসের অর্ডার আমরা শিগগিরই পেতে যাচ্ছি। অর্ডারের বিপরীতে রফতানি চলতি বছরের জুলাই থেকেই শুরু হবে। বিকেএমইএ জানিয়েছে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিট রফতানি রফতানিকারকদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে, যা বাণিজ্যিক ঘাটতি হ্রাস করবে। প্রসঙ্গত, জাপান প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের নিটপণ্য আমদানি করে থাকে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে শুধু ৪০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এটি মোট আমদানির মাত্র ৩ শতাংশ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চীনের ক্যাপিট্যাল-ইনটেনসিভ শিল্পে অধিক মনযোগ এবং এর প্রভাবে জাপানের চীন পলিসি গ্রহণের কারণে দেশটির বিশাল নিটওয়্যার বাজারে বাংলাদেশের নিটপণ্য রফতানির বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও ভিয়েতনামসহ আরও ০৯টি দেশের সঙ্গে জাপানের সিপিটিপিপি স্বাক্ষরের কারণে ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক ইতিমধ্যেই জাপানের বাজারে বেশ ভালোভাবেই প্রবেশ করেছে।