মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে সংস্কার তহবিল থেকে অর্থ ছাড় শুরু করেছে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক ইউরোপভিত্তিক ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ (অ্যাকর্ড)। মোট ৫ কারখানাকে ৪ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দিয়েছে তারা। আরও পাঁচ কারখানাকে এ তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। জোটের এক বিবৃতিতে আগামীতেও এ সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। অর্থ সংকটে সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ এবং ৬ মাসের অধিক সময় ধরে উৎপাদনে নেই এমন কারখানাকে তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা পেতে আবেদন করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানেই সংস্কার কাজে এ অর্থ ব্যয় নিশ্চিত করা হবে। চার কিস্তিতে অর্থ ছাড় করা হবে। প্রথম কিস্তির অর্থের সঠিক ব্যবহারসাপেক্ষে পরবর্তী কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে। এ শর্তেই কারখানাগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অ্যাকর্ডের। অর্থ সহায়তা পাওয়া কারখানাগুলো হচ্ছে- হাইপয়েড লিংগারিজ, রিটজি অ্যাপারেলস, এভারব্রাইট সোয়েটার, আয়শা এন্টারপ্রাইজ ও মিক নিট।
অ্যাকর্ডের সংস্কার তহবিল থেকে অর্থ পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বিবৃতিতে বলা হয়, অবশ্যই সংস্কার কার্যক্রম শুরুর প্রচেষ্টার প্রমাণ দিতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে। সংস্কার পরিকল্পনাসহ কী বৈধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা দেখাতে হবে। যেমন, কারখানার ফটকে কলাপসিবল গেট অপসারণ হয়েছে কি-না জানাতে হবে। সংশোধিত শ্রম আইনে এ ধরনের গেট অপসারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কলাপসিবল গেট থাকলে সাধারণত দুর্ঘটনার সময় শ্রমিকরা বের হয়ে আসতে অসুবিধায় পড়েন। এ ছাড়া তুলনামূলক কম অর্থ লাগে এ রকম সংস্কার কাজ শেষ করার প্রমাণ দিতে হবে কারখানাগুলোকে।
বিবৃতিতে অ্যাকর্ডের সহপরিচালক জোরিস অলডেনজিলের বক্তব্য উদ্ৃব্দত করে বলা হয়, অ্যাকর্ডের সংস্কার তহবিল থেকে অর্থ পাওয়া কারখানাকে এ অর্থ ফেরত দিতে হবে না। তবে এসব কারখানার সংস্কার নিশ্চিত করতে অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে অ্যাকর্ড।
প্রসঙ্গত, চলতি মাস শেষেই অ্যাকর্ডের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অতিরিক্ত ৬ মাস কাজ চালিয়ে যেতে সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়তি এ ৬ মাস শেষে জোটটি কি এ দেশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেবে, নাকি পোশাক খাতের সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশীয় উদ্যোগে রেমিডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) পক্ষে দায়িত্ব নেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জনের অনির্ধারিত সময় পর্যন্ত তারা থেকে যাবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।