বাংলাদেশে ইউরোপ ও আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স আলাদাভাবে এ পর্যন্ত ২ হাজার ২শ’ কারখানা পরিদর্শন শেষ করে এখন সংস্কার কাজ তদারক করছে। উভয় জোটেরই পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সভুক্ত প্রায় ৫শ’ কারখানা এখন পর্যন্ত শতভাগ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে অ্যালায়েন্সভুক্ত কারখানার সংস্কারে অগ্রগতি বেশি।
ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডভুক্ত ২৩০টি ব্র্যান্ডের কাছে পোশাক সরবরাহকারী প্রায় ১ হাজার ৬শ’ কারখানার সংস্কার দেখভাল করছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ কারখানা পুরোপুরি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে। এর বাইরে আরো প্রায় আটশ’ কারখানা ৯০ শতাংশের বেশি ত্রুটির সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্সভুক্ত ৬শ’ কারখানার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ’ কারখানা শতভাগ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে।
২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন এক হাজারের বেশি শ্রমিক। এর পরই আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও চাপের মুখে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্র্যান্ড ও বায়ার তাদের পণ্য সরবরাহকারী কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা ও সংস্কারকাজ তদারকের উদ্যোগ নেয়। কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে ত্রুটি চিহ্নিত করে তা সংস্কারের লক্ষ্যে কারখানা মালিকদের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পরিদর্শনকালে বড় ধরণের ঝুঁকি চিহ্নিত হওয়ায় বেশকিছু কারখানা শুরুতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর নির্ধারিত সময়ে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে না পারায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স।
অবশ্য এখনো অগ্নি দুর্ঘটনায় বহির্গনম পথ, ফায়ার অ্যালার্ম ও অগ্নি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ত্রুটি সংস্কারে ঘাটতি রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে কাঠামোগত ত্রুটিও সব সংস্কার সম্পন্ন হয়নি।