পোশাক খাত মূল্যায়নে নিয়োজিত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপভিত্তিক দুই ক্রেতাজোট অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ডের কর্মসূচি সম্প্রসারণে তাগাদা দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। গতকাল পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তাগাদা দেন।
বিজিএমইএ ভবনে ‘বিজিএমইএ-বিইউএফটি জার্নালিজম ফেলোশিপ শিক্ষা সফর ২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, প্রথম সহসভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি এসএম মান্নান, মোহাম্মদ নাসির ও মাহমুদ হাসান খান বাবু।
বার্নিকাট বলেন, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। বিজিএমইএ ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে এ বিনিময় কর্মসূচির সহযোগী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এ কর্মসূচির মাধ্যমে সাংবাদিকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের পোশাক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৩ সালের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন অনেক নিরাপদ। তার পরও আমাদের স্বীকার করতে হবে যে কারখানা ও ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এখনো অনেক কাজ বাকি। তাই সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। বিজিএমইএ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমার জোরালো সুপারিশ হলো, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম সম্প্রসারণের বিষয়ে যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্প্রসারণ অনুমোদনে বিলম্ব হলে তা ক্রেতা ও ভোক্তাদের কাছে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশের সম্পর্কে নেতিবাচক ইঙ্গিত দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যেসব সাংবাদিক পোশাক শিল্পের ওপর সংবাদ কভার করেন, তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের গুরুত্ব অনুধাবন করেই বিজিএমইএ ও বিইউএফটি যৌথভাবে ২০১৫ সালে এ জার্নালিজম ফেলোশিপ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মতো আমরা এ ফেলোশিপ আয়োজন করছি। ফেলোশিপের জন্য আবেদনকারী সাংবাদিকদের মধ্য থেকে এরই মধ্যে ছয়জন মনোনীত হয়েছেন।
সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, ফেলো নির্বাচনের জন্য আমরা তিনজন অভিজ্ঞ মিডিয়া ব্যক্তিত্বের সহায়তা নিয়েছি, যাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত ফেলোরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। এ তিনজন মেন্টর হলেন মঞ্জরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত ও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। তারা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সুচারুভাবে ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি তত্ত্বাবধান করছেন। আমরা মনে করছি, স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যদি ফেলোদের জন্য বিদেশে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করা যায়, তবে তারা পেশাগত দিক থেকে আরো সমৃদ্ধশালী হবেন। যদিও আর্থিক ও অন্যান্য প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে বিদেশে শিক্ষা সফর আয়োজন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তার পরও আমরা সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে ফেলোদের জন্য এবার যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা সফরের আয়োজন করেছি।