তৈরি পোশাক শিল্পের সরবরাহ চেইনের সব স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা চায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া ন্যায্য দরের পাশাপাশি সব দেশের কমপ্লায়েন্স মানে একই শর্ত আরোপের দীর্ঘদিনের দাবি বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিতে আনা হয়েছে। ডেনমার্কে বিশ্ব ফ্যাশন সম্মেলনে দেশের পক্ষে এ দাবি তুলে ধরেন ডেনিম এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কয়েকটি প্ল্যানারি অধিবেশনে তিনি বক্তব্য দেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্স শর্তের মধ্যেও ভিন্নতায়ও দুর্ভোগে পড়তে হয় উদ্যোক্তাদের। সুবিচারের স্বার্থে পোশাক রফতানিকারক সব দেশকেই অভিন্ন কমপ্লায়েন্স শর্তের আওতায় আনা দরকার। এ বিষয়ে একটি বৈশ্বিক অভিন্ন আচরণবিধি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কসহ বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, ব্র্যান্ড প্রতিনিধি ও কয়েকটি দেশের উদ্যোক্তারা এসব অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। এশিয়ার মধ্যে মোস্তাফিজ উদ্দিন ছিলেন এ সম্মেলনের প্রথম মনোনীত বক্তা। তার বক্তৃতার পর ডোনাল্ড টাস্ক বাংলাদেশের পোশাক খাতের বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ দেখান। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
বিশ্ব ফ্যাশন সম্মেলন এবং পোশাক খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গত শনিবার চট্টগ্রাম ইপিজেডে ডেনিম এক্সপার্টের কারখানায় কয়েকটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মোস্তাফিজ উদ্দিন। সম্মেলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনায় তিনি বলেন, পোশাক পণ্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের দুর্বলতা নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হয়। এবারের সম্মেলনেও তাই হয়েছে। উপস্থাপকও এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা হিসেবে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান।
জবাবে তিনি বলেন, দুঃখজনক রানা প্লাজা ধসের পর দুই ক্রেতাজোটের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের কমপ্লায়েন্স এখন বিশ্বমানের। এখানে আইন করে কমপ্লায়েন্স শর্ত প্রতিপালনে উদ্যোক্তাদের বাধ্য করা হয়। কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন না হলে কোনো কারখানাকে উৎপাদন করতেই দেওয়া হয় না। তারপরও কমপ্লায়েন্সের চাপ কেন বাংলাদেশের ওপরই বারবার- এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।