বাংলাদেশে ইউরোপভিত্তিক ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এক সংবাদ সম্মেলনে এ জোটের কার্যক্রম আরো ছয় মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে এরপর আদালত তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তিন মাস বাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে অ্যাকর্ডের সঙ্গে নতুন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোন চুক্তির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এর ফলে আগামী জুন থেকে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চলতি মাসে অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
স্মার্ট গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা রিটের শুনানিতে গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবীরা বলছেন, এর ফলে আগামী জুন থেকে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনগতভাবে অবৈধ।
এর আগে রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি মাসের পর অ্যাকর্ডের সময়সীমা আরো ৬ মাস বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ওই সময়ের মধ্যে সরকার গঠিত সংস্কার সমন্বয় সেল বা আরসিসি সক্ষমতা অর্জন করবে। ওই সময় অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির বেশিরভাগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশী কারখানা পরিদর্শনে আলাদা দুটি জোট কাজ শুরু করে। এর একটি হলো ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার এন্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। এসব ক্রেতা ও ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করে, এমন এক হাজার ৬শ’ কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এখন সংস্কার কাজ তদারক করছে। তবে গত বছর এ কার্যক্রম আরো তিন বছর বাড়ানোর বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর পরই ইইউ রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকটি দেশে রাষ্ট্রদূতদের কাছে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ বিষয়ে সরকারের আপত্তির বিষয়টি জানিয়েছেন। অন্যদিকে সংস্কার ইস্যুতে কারখানা মালিকদের সঙ্গেও ক্রমেই দুরত্ব বাড়তে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ও এর নির্বাহি পরিচালক রব ওয়েজ কারখানা মালিকদের উপর খবরদারি করছেন বলেও অভিযোগ উঠে।