Home Bangla Recent গার্মেন্টসে মজুরি ১৬ হাজার টাকা দ্রুত ঘোষণার দাবি

গার্মেন্টসে মজুরি ১৬ হাজার টাকা দ্রুত ঘোষণার দাবি

মে দিবসে শ্রমিকদের সভা-সমাবেশ

মহান মে দিবসে শ্রমিকরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাদের অধিকারের দাবি তুলে ধরেছে। রাজধানী ছাড়াও শিল্প অধ্যুষিত এলাকায় মে দিবস উপলক্ষ্যে সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধনে শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। রাজধানীতে গার্মেন্টস শ্রমিক, গৃহ শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রমিক অধিকার সংগঠন সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের মজুরি কমপক্ষে ১৬ হাজার টাকা দ্রুত ঘোষণা দেওয়ার দাবি তোলা হয়।

মে দিবসে পল্টনে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকরা আড়াই বছর আগে ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবি উত্থাপন করে। তারা তখনকার বাজার দর পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৬ হাজার টাকা চেয়েছিল। বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্যের যা দাম, তাতে অন্তত বিশ হাজার টাকা মজুরি দাবি করা উচিত। তিনি বলেন, কালবিলম্ব না করে দ্রুত ১৬ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করুন। অন্যথায় শ্রমিকরা বিশ হাজার টাকা মজুরি দাবি করতে বাধ্য হবে। সমাবেশ শেষে শ্রমিকদের একটি মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পথ ঘুরে জাতীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র সভাপতি মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম প্রমূখ।

এসময় গার্মেন্ট শ্রমিক নেতারা বলেন, কঠিন অন্দোলনের মাধ্যমেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মোট মজুরির দাবি আদায় করতে হবে। মন্টু ঘোষ বলেন, ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবি ছিল মজুরি দাসত্বের হাত থেকে শ্রমিক শ্রেণীর বাঁচার দাবি। আজ অনেক দেশে শ্রমের সময় কমে গেছে। তাই বলে শ্রম দাসত্ব থেকে, শোষণের হাত থেকে শ্রমিক শ্রেণী মুক্তি পায়নি। মে দিবস শোষণের হাত থেকে শ্রেণির মুক্তি সংগ্রাম তীব্রতর করার শপথ গ্রহণের দিন। সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, একের পর এক কালাকানুন এবং আইনের বিধিবিধান করার মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার এবং সুযোগা-সুবিধা হরণ করা হচ্ছে। এখনো অধিকাংশ শ্রমিক মে দিবসের সবেতন ছুটি পায় না। শ্রম আইন অনুসারে সুযোগ সুবিধা, চাকুরি ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা এবং অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়া ও আবাসন সংকটে শ্রমিকরা বিপর্যস্ত। নারী শ্রমিকরা বৈষম্য ও যৌন হয়রানির শিকার। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি আজও উপেক্ষিত। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দালালদের খপ্পর থেকে মুক্ত করে, শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গীসম্পন্ন স্বাধীন ও বিপ্লবী ধারায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

শ্রমিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে গাজীপুর, চট্রগ্রাম, আশুলিয়া, তেজগাঁও, নারায়নগঞ্জ, কাঁচপুর, নরসিংদীসহ নয়টি শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here