তৈরি পোশাক খাতের মজুরি নির্ধারণ নিয়ে তালবাহানা করার অভিযোগ করেছে এখাতের ৬টি শ্রমিক সঙগঠনের জোট। সংগঠনের নেতাদের মতে, মজুরী নির্ধারণে কালড়্গেপন করতে চায় বিজিএমইএ। এতে সরকারেরও যোগসাজস রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের নূন্যতম মজুরি ঘোষণা চান তারা। এই দাবি পূরণ না হলে, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বয়কট করতে পারে শ্রমিকরা। কালক্ষেপনকে কেন্দ্র করে শ্রম অসন্তোষের শংকা প্রকাশ করেন তারা।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সর্তকতা উচ্চারণ করেন শ্রমিক নেতারা। রাজধানীর ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলয়নতনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তৌহিদুর রাহমান, আমিরুল হক আমিন, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রাহমান ইসমাইল, মহতাব উদ্দিন শহীদ, আবুল হোসেন, বাহারানে সুলতান বাহার প্রমুখ।
ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি), বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, গার্মেন্টস শ্রমিক শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্টেস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন, গার্মেন্টস শ্রমিক মজুরি আন্দোলন এবং গার্মেন্সট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। আইবিসিআইয়ের মহাসচিব তৌহিদুর রহমানের সভাপতি এতে লিখিত বক্তব্যে উপস্পান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, মজুরি বোর্ডে মালিক পক্ষের প্রতিনিধির অসহযোগিতায় বোর্ডের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বোর্ডের গত বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। মালিক পক্ষ চায় সময় ক্ষেপন করে এবছর পার করে দিতে। ডিসেম্বরের নির্বাচনে নতুন সরকার আসলে মজুরি নিয়ে যাতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তারা বলেন, ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রোজার পরে পোশাক খাতের সব শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, পোশাক শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণে সরকার গত জানুয়ারি মাসে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে। জুন মাসের মধ্যে মজুরি বোর্ডের মজুরি রোয়েদাদ চুড়ান্ত করার কথা। কিন্তু মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম ধীর গতিতে চলছে। এতে করে শ্রমিকদের মধ্যে আশংকা তৈরি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজুরি রোয়েদাদ চুড়ান্ত করতে পারবে। নূন্যতম মজুরি ১৬ হাজার টাকার দাবিসহ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বছরে ১০ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধিসহ ৫টি গ্রেড অবিলম্বে ঘোষণা দেওয়ার আহবান জানান তারা।