বাংলাদেশের ডেনিমশিল্প বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দিলেও ইতিবাচক ব্র্যান্ডিংয়ের অভাবে দেশের এই অফুরন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারছে না বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা মনে করেন, সরকার এবং খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা সমন্বিত উদ্যোগ নিলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই বর্তমান রপ্তানি আয়কে দ্বিগুণ করা সম্ভব। গতকাল বুধবাব রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দুই দিনব্যাপী অষ্টম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে অংশ নিতে আসা উদ্যোক্তারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে ৬১টি ডেনিম পণ্যের প্রদর্শনী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্থানীয় ফ্যাশন ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নিচ্ছেন। স্পেনের জিনোলোজিয়ার প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশন ম্যানেজার কারমেন সিলা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক খাতের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে নেতিবাচক ধারণাও আছে। তবে কেউ যদি বাংলাদেশে একবার সফর করে। আর পোশাক খাতের সম্ভাবনা নিজ চোখে দেখে আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ নিয়ে তাদের সব ধরনের নেতিবাচক ধারণা মুহূর্তেই পাল্টে যাবে। কেননা এ দেশে এখন বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান আছে, যা অনেকেই জানে না।’
বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের বড় প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যান্ড কাস্টমার কেয়ারের ব্যবস্থাপক অনল রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এরই মধ্যে এই এক্সপো একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এ প্রদর্শনীতে বিশ্বের বড় ক্রেতারা আসে নেটওয়ার্কিং করতে, একই সঙ্গে তাদের এ দেশীয় ক্রেতাদের কারখানাগুলোও পরিদর্শন করে। আমাদের কারখানাগুলোর উন্নতি দেখে তারা সত্যিকার অর্থে বিস্ময় প্রকাশ করে।’
বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ডেনিম এক্সপো ডেনিম শিল্পসংশ্লিষ্টদের কাছে একটি নিয়মিত মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার ফলে আগত দর্শনার্থী, ক্রেতারা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরিতে অপূর্ব সুযোগ পায়।