নির্ধারিত সময়ের পর অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ৩১ মে অ্যাকর্ডের এবং ৩০ জুন অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হবে। এর পর ছয় মাস কার্যক্রম গুছিয়ে নেওয়ার সময় দেওয়া হবে। বাংলাদেশে এ দুটি সংস্থার আর প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বিশেষ সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুলল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাকশিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি সময়মতো পরিশোধ এবং ঈদের ছুটি সমন্বয় পর্যালোচনার লক্ষ্যে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিটিএমএর পরিচালক বিএম শোয়েবসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের সংস্থার কার্যক্রম নেই। সঙ্গত কারণেই অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাকশিল্প কল-কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ও কর্মবান্ধব পরিবেশ তদারকির সক্ষমতা অর্জন করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এখন থেকে নিয়মিত পরিদর্শনের কাজ রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) করবে। এসব কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। কারখানাগুলো এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব। তৈরি পোশাক কারখানাগুলো এখন বিশ^মানের।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, শ্রমিকদের বেতন, ভাতা ও বোনাস নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। শ্রমিকরা যথাসময়ে তাদের পাওনা বুঝে পাবেন। শিল্প মালিকরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। শিল্প মালিকরা এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের প্রথমে নির্ধারিত সময়ে বেতন এবং ঈদের ছুটির আগেই বোনাস দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনো জটিলতা হবে না।