চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে সময় পর্যন্ত ১১ মাসে পাট ও পাট পণ্যের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ খাতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে শুধু অন্যান্য খাত ছাড়া বাকি খাতগুলো রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্যে বলা হয়েছে, পাট ও পাট পণ্যের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে পাট ও পাট পণ্যের রপ্তানি হয়েছিল ৯০ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
পাট ও পাট পণ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কাঁচা পাট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমেছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জুলাই থেকে মে সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।
পাটের সুতা ও টুইন খাতের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হলেও চলতি অর্থবছরের ১১ মাসের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। পাটের সুতা ও টুইন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৬০ কোটি ৯১ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। এ হিসাবে পাটের সুতা ও টুইন রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমেছে। একই সঙ্গে অর্জিত হয়নি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দমমিক ৩০ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি হয়েছিল ১২ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
পাট ও পাট পণ্য রপ্তানির মধ্যে অন্যান্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অর্জনও বেড়েছে। অর্থবছরের ১১ মাসে অন্যান্য খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। পুরো অর্থবছরে অন্যান্য খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে অন্যান্য খাতের রপ্তানি হয়েছিল ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ হিসাবে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ৭৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।