বাংলাদেশ শুধু কম দামে মানসম্পন্ন তৈরি পোশাকই রপ্তানি করে না, নিজ দেশের উন্নত কাঁচামালে তৈরি বিশ্বমানের ফুটওয়্যার রপ্তানিতেও সক্ষম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রধান ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে উন্নতমানের ফুটওয়্যার আমদানি করলে তারা লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গতকাল বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও ফুটওয়্যার নিয়ে এক বিশেষ কর্মশালায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রপ্তানি পণ্য। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ উন্নতমানের চামড়া উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করছে। এ খাতে বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তিও রয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বমানের ফুটওয়্যার বিদেশেও রপ্তানি করছে। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের মতো ফুটওয়্যার আমদানি করলে লাভবান হবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে, তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর পরেও উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের পাশেই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফায়েল।
তিনি বলেন, সরকার তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করছে। শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে কারখানাগুলো সংস্কার করা হয়েছে। এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ক্রেতা দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, শ্রমসচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বেপজার নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. হাবিবুর রহমান খান ও ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।