প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোষাক খাতের কর্পোরেট কর ১২শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক খাতের করপোরেট কর কমানো হয়েছে। কিন্তু যে খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হচ্ছে সেই পোশাক খাতের করপোরেট কর বাড়ানো হয়েছে। করপোরেট কর বাড়ানোর ফলে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা নিরুত্সাহিত হবে বলে উল্লেখ করেছে এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের উপর এক প্রতিক্রিয়ায় ইএবি সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী পোশাকশিল্পে করপোরেট করহার ১০ শতাংশ নির্ধারণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য কর্পোরেট কর কমপক্ষে ৫ শতাংশ কমানো প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য উেস কর কর্তনের হার শুণ্য দশমিক ৭০ ভাগ প্রযোজ্য আছে, যা ১ জুলাই থেকে ১ শতাংশ হিসাবে উেস কর বাস্তবায়িত হবে। যদি ১ শতাংশ হারে উেস কর বাস্তবায়িত হয় তাহলে রপ্তানিমুখি শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে, শিল্পের সক্ষমতা কমে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হবে। বিষয়টি পূন:বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের প্রস্তাব হলে উেস কর শুণ্য দশমিক ২৫ ভাগ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত তা বলবত্ রাখা। এছাড়াও উেস কর কর্তনকে মিনিমাম ট্যাক্স হিসাবে বিবেচনা না করে পূর্বের ন্যায় চূড়ান্ত কর দায় হিসাবে গণ্য করা। একইসাথে বস্ত্র খাতের অন্য ২টি উপখাত টেরিটাওয়েল ও হোমটেক্সটাইল এর উেস কর শুণ্য দশমিক ২৫ ভাগ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, মুষ্টিমেয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব করে তিনি ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বজায় রাখার আহ্বান জানান। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পোশাকখাতের সুরক্ষায় আগামী ২ বছরের জন্য পোশাক রপ্তানির এফওবি মূল্যের উপর প্রচলিত সুবিধাগুলোর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করার বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।