পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে সরকার গঠিত মজুরি বোর্ডের কাছে আগামী ১৬ জুলাই প্রস্তাবনা দেবে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সময় চাওয়ায় বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বিকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের দ্বিতীয় বৈঠকশেষে প্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
মালিকপক্ষ প্রস্তাবনা না দেওয়ায় শ্রমিকপক্ষও তাদের প্রস্তাবনা জমা দেয়নি। তবে উভয় পক্ষের প্রস্তাবনা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে আগামী ডিসেম্বরেই কার্যকর হতে পারে নতুন মজুরি বোর্ড। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মালিকপক্ষের প্রতিনিধি কাজী সাইফুদ্দীন আহমদ, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ফজলুল হক মন্টু। অস্থায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের নারীবিষয়ক সম্পাদিকা বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া। তবে বোর্ডের নিরপেক্ষ প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন বৈঠকে আসেননি। বৈঠক শেষে বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৈঠকের সিদ্ধান্ত ছিল মালিক ও শ্রমিকপক্ষ একটি প্রস্তাবনা দাখিল করবেন। তারা জানিয়েছেন, প্রস্তাবনা কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, অল্প কিছু সময় চেয়েছেন। আমরা সময় দিয়েছি, যাতে ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করা যায়। আগামী ১৬ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় মজুরি বোর্ডের পরবর্তী বৈঠক। সেখানে তারা তাদের প্রস্তাবনা দাখিল করবেন।’
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘নতুন মজুরি নির্ধারণে এ বছর পর্যন্ত সময় ছিল। তার আগেই সরকারকে আমরা মজুরি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।’ শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, ‘আসলে প্রস্তাবনায় গ্রেড নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। ৭টি গ্রেড থেকে ৫টি গ্রেডে নামাতে চেয়েছি। ৬, ৫, ৪-কে একটি গ্রেড করা হয়েছিল। এতে করে দেখা গেছে, ৬নং গ্রেডের শ্রমিকরা যদি ৪নং গ্রেডের মতো বেতন পায়, তা হলে শ্রমিকাঙ্গনে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে।’
এদিকে মজুরি বোর্ডের বৈঠক চলাকালে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ের নিচে দুটি শ্রমিক সংগঠন সমাবেশ করেছে। সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ১৬ হাজার টাকা ন্যূনতম বেতনের দাবি জানায়।