কাঁচা পাট রফতানি নির্ভরতা থেকে বের হয়ে বহুমুখী পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। সবশেষ অর্থবছরে এই খাত থেকে সব মিলিয়ে আয় হয়েছে বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যেখানে পাটজাত পণ্যের অংশ বেশ ভাল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ খাতে নতুন বিনিয়োগ, উৎপাদন পদ্ধতিতে সংস্কার এবং পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানো গেলে আয় বাড়ানো সম্ভব আরও কয়েকগুণ।
সোনালি আঁশ বা পাটের হাত ধরে অর্থনীতির ভিত শক্ত হয়েছে বাংলাদেশের। স্বাধীনতার পর রফতানি বাজারেও এদেশকে চিনিয়েছে কোটি কৃষকের স্বপ্ন। কিন্তু সাড়ে চার দশকে অর্থনীতির ধরন এবং গতি বদলে যাওয়ায়, গুরুত্ব কমতে থাকে এই ফসলের। কমতে থাকে রফতানি আয়ও। যদিও বর্তমানে পাটের তৈরি বহুমুখী ও বৈচিত্র্যময় পণ্যের কদরে কিছুটা পাল্টেছে সে চিত্র। এখন কেবল দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই পরিবেশ বান্ধব এ পণ্যের প্রতি ঝুঁকছে মানুষ। নতুন করে এই খাত আবারো চাঙ্গা করতে বেশ উদ্যোগী হয়ে উঠেছে সরকার। যার ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনাও শুরু হয়েছে নতুন পণ্য রফতানির বিষয়ে। সবশেষ অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ১০২ কোটি ডলার। যা প্রত্যাশার চেয়ে কম হলেও প্রবৃদ্ধি এসেছে ৭ শতাংশের ওপর। উদ্যোক্তাদের মতে, নতুন প্রযুক্তির পাশাপাশি মান সম্পন্ন কাঁচাপাট সরবরাহ করা গেলে এ খাতের রফতানি আয় আরও বাড়ানো সম্ভব। বিশ্লেষকরা বলছেন, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে যে কাঁচামাল প্রয়োজন পুরনো মিলগুলোতে সে সক্ষমতা নেই। এছাড়া নজর দেয়া হয়নি গুণগত ডিজাইনেও। পুরনো উৎপাদন পদ্ধতি, শিল্পের সংস্কার না হওয়া, গবেষণায় ঘাটতি এমন নানা কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় এখনো পিছিয়ে বাংলাদেশ। বিশ্লেষকদের মতে, এই খাতে সরকারী সহযোগিতা বাড়ানো গেলে রফতানি আয় বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব।