Home Bangla Recent শূন্য থেকে তৈরি পোশাকের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৮ শতাংশ

শূন্য থেকে তৈরি পোশাকের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৮ শতাংশ

মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শুরু করে গেল অর্থবছর শেষে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক সাত ছয় শতাংশে। রফতানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে বেক্সিটের পর সাম্প্রতিক চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে এ খাতের প্রবৃদ্ধি আবার কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরিতে, গবেষণার ওপর জোর দেয়ার তাগিদ বিজিএমইএর।

 

কয়েক বছর ধরে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের আশপাশে থাকলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নেমে আসে শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশে। তবে সময় লাগেনি ঘুরে দাঁড়াতে। এক বছরের ব্যবধানে ৮ দশমিক সাত ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গেল অর্থবছর শেষ করে পোশাক খাত। এসময় এ শিল্পের রফতানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ কোটি ডলারেরও বেশি।

চলতি অর্থবছরের জন্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি পোশাক শিল্পের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা। তবে তা বাড়বে, এমন ইঙ্গিত উদ্যোক্তাদের। কিন্তু ব্রেক্সিটের অস্থিরতা আর চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে এ খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, প্রতিবছর যদি ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন না করতে পারি তাহলে ৫০ মিলিয়ন ডলার অর্জন করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে পোশাক খাতে আমাদের যে প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন, সেটি আমরা অর্জন করতে পারব না।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ডলারের দর ওঠা-নামাকে গুরুত্ব দিয়ে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো তৈরি পোশাকের অপ্রচলিত বাজার দখলে মনোযোগ বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার বিনিময় হার যদি উঠা নামা করে তাহলে এর ঝুঁকি সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে এর পণ্য মূল্য বেড়ে যায়। সেটির প্রতিক্রিয়াও আমাদের এখানে পড়তে পারে। প্রচলিত বাজারের ওপর আমাদের যে নির্ভরতা, সেটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

শঙ্কায় আছেন উদ্যোক্তারাও। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিত্য-নতুন পণ্য তৈরিতে গবেষণার পরিসর বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তারা। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ বছরের মতো বৃদ্ধি না হলেও এর কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করব। সেজন্য আরএমজি কে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের পণ্য উন্নত করে বিদেশে গিয়ে অর্ডার আনতে হবে। সেই সঙ্গে সড়ক-বন্দরের উন্নয়নে সরকারের আরও আন্তরিকতা চায় তৈরি শিল্প শিল্প মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here