Home Bangla Recent আরও ৭ কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন অ্যাকর্ডের

আরও ৭ কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন অ্যাকর্ডের

এক দিনেই নতুন করে আরও সাত কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক ক্রেতা জোট ইউরোপের অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দুর্বলতা ও জোটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগে কারখানাগুলোকে অ্যাকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অ্যাকার্ড গতকাল এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।

অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটে কারখানাগুলোর নাম প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে অ্যাকর্ড থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫১টিতে। অপর ক্রেতা জোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি থেকেও একই অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫৭টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। দুই জোট থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা এখন দাঁড়ালো ৩০৮টিতে। এসব কারখানা দুই জোটের কোনো ক্রেতার রফতানি আদেশ পাচ্ছে না। অর্থাৎ কার্যত এসব কারখানা বন্ধ। সাব-কন্ট্রাক্ট বা ঠিকা ভিত্তিতে শুধু এই কারখানাগুলো উৎপাদনে টিকে থাকতে পারে।

নতুন করে বাদ পড়া কারখানাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর সুপার নিটিং অ্যান্ড ডাইং মিলস এবং এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পোশাক খাতের বাকি ৫ কারখানা। কারখানাগুলো হচ্ছে- গ্রিনল্যান্ড অ্যাপারেলস, ইপসিতা গার্মেন্টস, সুপার সিনথেটিক্স, সুপার থ্রেড ও ভিজুয়াল ইকো স্টাইল ওয়্যার। বাদ পড়া অপর কারখানা হচ্ছে ঢাকার পল্লবীর এসবি নিটেক্স। বিবৃতিতে বলা হয়, চূড়ান্তভাবে অ্যাকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার আগে কারখানা কর্তৃপক্ষকে তিন দফা চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়।

রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কার উন্নয়নে কাজ করছে অ্যাকর্ড। বাংলাদেশের যেসব কারখানা থেকে অ্যাকর্ডের ক্রেতারা পোশাক আমদানি করে থাকে- এরকম দুই হাজার ৯৬টি কারখানাকে প্রাথমিক পরিদর্শনের জন্য বাছাই করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৬৩১টি কারখানার প্রাথমিক পরিদর্শন শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পরিদর্শনে এসব কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি নিরাপত্তা ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ৮৬ হাজার ৭৮৯ ত্রুটি ধরা পড়ে। এসব ত্রুটির ৮৪ ভাগ এরই মধ্যে সংশোধন হয়েছে অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানে। নতুন করে পরিদর্শনের কথা রয়েছে ৭৪টির। ৪৯টিকে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আওতায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ৮৮টি কারখানা। স্থানান্তর আবশ্যক হওয়া বাকি ৫৮টি কারখানা এখন আর অ্যাকর্ডের আওতায় নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here