রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত পাঁচ বছরে দেশের পোশাক কারখানার অনেক সংস্কার হলেও ঝরে পড়ার সংখ্যাও কম নয়। এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যানুসারে এটি প্রায় এক হাজারের বেশি। এদিকে সংস্কারে এগিয়ে আসা আন্তর্জাতিক ক্রেতা জোট সংগঠন অ্যাকর্ডের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সম্প্রতি সংস্কারকাজ শেষ করতে না পারায় আরো সাতটি সদস্য কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে অ্যাকর্ড থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৫১। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি থেকেও একই অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৫৭টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। দুই জোট থেকে বাদ পড়া মোট কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৮।
সংস্কার কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থতা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা দুর্বলতা ও জোটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করার অভিযোগে কারখানাগুলোকে অ্যাকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাদ পড়া কারখানাগুলো হলো—চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর সুপার নিটিং অ্যান্ড ডায়িং মিলস এবং এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পোশাক খাতের বাকি পাঁচ কারখানা যথা—গ্রিনল্যান্ড অ্যাপারেলস, ইপসিতা গার্মেন্টস, সুপার সিনথেটিকস, সুপার থ্রেড ও ভিজুয়াল ইকো স্টাইল ওয়্যার। বাদ পড়া অন্য কারখানা হলো ঢাকার পল্লবীর এসবি নিটেক্স। রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কার উন্নয়নে কাজ করছে অ্যাকর্ড।