Home Bangla Recent মালিকরা চাপের মুখে ॥ তৈরি পোশাকের ন্যূনতম মজুরি

মালিকরা চাপের মুখে ॥ তৈরি পোশাকের ন্যূনতম মজুরি

বেতন বাড়ায় প্রকৃত শ্রমিকরা খুশি

rmg worker

বর্তমান সময়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি। কারণ এ খাতের দিকে তাকিয়ে আছে দেশের অন্যান্য খাতের উদ্যোক্তারাও। সাধারণত তৈরি পোশাক খাতেই সবচেয়ে কম মজুরি থাকে। ফলে এ মজুরি কাঠামো দেশের অন্যান্য খাতের মজুরিতেও প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত হচ্ছে এই তৈরি পোশাক। আবার সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানেরও খাত এটি। উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম পরিচিতি আসে এই তৈরি পোশাক দিয়েই। বিশ্বে চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রফতানির অবস্থানে উঠে গিয়ে সেই ঝা-া এখনও ধরে রেখেছে এই খাতটি।

মূলত সত্তরের দশকে দেশের এই তৈরি পোশাক খাতের যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় অবশ্য শ্রীলঙ্কা এই অঞ্চলের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। আশির দশকে ওই দেশটিতে তামিল অধ্যুষিত এলাকায় যুদ্ধ শুরু হলে তৈরি পোশাক খাতের আন্তর্জাতিক ক্রেতারা বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি দেয়। ফলে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে। নব্বইয়ের দশকে এসে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ হিসেবে একটি সুসংহত অবস্থান সৃষ্টি করে নেয়। দ্রুত বাড়তে থাকে এ খাতে কর্মসংস্থানও। জনবহুল একটি দেশ হিসেবে শ্রমঘন এই শিল্পটি মূলত প্রতিষ্ঠা পায় সস্তা শ্রমের কারণে। এখনও বাংলাদেশ যে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে তা ওই সস্তা শ্রমের কারণেই। ফলে এ খাতের শ্রমিকদের জন্য মজুরি নির্ধারণ করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের বিষয়।

শুরু থেকেই এ খাতের শ্রমিকদের বেতন কাঠামোয় কোন শৃঙ্খলা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম তাগিদ অনুভব করে এ খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতায় শৃঙ্খলা আনার। এজন্য উদ্যোগ নেয় সরকারী খাতের শ্রমিকদের মতো, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্যও একটি বেতন কাঠামো তৈরি করার। যদিও এটি বেশ কষ্টসাধ্য কাজ। কারণ এ খাতের বেতন-ভাতার মতো শ্রমিকরাও বিশৃঙ্খল। তাদের একক কেন্দ্রীয় কোন শ্রমিক সংগঠন নেই। আবার মালিকারও তাদের সংগঠন করার বিষয়টি সহজভাবে নেয় না। ফলে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করলেও বাস্তবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের একক বা কেন্দ্রীয় কোন সংগঠন নেই। তা সত্ত্বেও সরকার এ খাতের শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়ে ২০১০ সালে এ খাতের শ্রমিকদের জন্য প্রথম মজুরি বোর্ড গঠন করে। ওই মজুরি বোর্ড মালিক শ্রমিক ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে। ২০১০ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত প্রথম মজুরি কাঠামোয় ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার টাকা। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হলেও শেষ পর্যন্ত মালিক শ্রমিক উভয়ে এই ন্যূনতম মজুরি মেনে নেয়।

পরবর্তীতে মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে ২০১৩ সালে দ্বিতীয় মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। এ দফায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। দ্বিতীয় মজুরি বোর্ড তিন বছর পর গঠন করা হলেও এবার প্রায় পাঁচ বছর পর তৃতীয় মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। চলতি ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি সরকার এ মজুরি বোর্ড গঠন করে। বোর্ড নয় মাসে মোট ৫টি বৈঠক করেই ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করতে সক্ষম হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ বৈঠকে মজুরি চূড়ান্ত করে বোর্ড সদস্যরা সচিবালয়ে যান। সেখানেই শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু নতুন গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির ঘোষণা দেন।

বর্তমানে পোশাক শ্রমিকরা ন্যূনতম বেতন পাচ্ছেন ৫ হাজার ৩শ’ টাকা। এর ওপর ভিত্তি করে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেয় সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, শ্রমিকের মূল বেতন ৪ হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১ হাজার ৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬শ’ টাকা, যাতায়াত ৬শ’ টাকা এবং বাকি টাকা খাদ্য ও অন্যান্য খাতে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন কাঠামোতে কাজে যোগ দিয়েই (এন্ট্রি লেভেলে) একজন শ্রমিক আগের তুলনায় ২ হাজার ৭শ’ টাকা বেশি পাবেন।

অবশ্য এ মজুরি ঘোষণার আগেই মজুরি বোর্ডের কাজকে কঠিন করে দেয় বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) এ সংক্রান্ত একটি স্টাডি রিপোর্ট। এ প্রতিষ্ঠানটি গত পাঁচ বছরের মূল্যস্ফীতি এবং শ্রমিকদের ব্যয়ের বিষয়টি মূল্যায়ন করে ন্যূনতম মজুরি ৯ হাজার টাকা হওয়া উচিত বলে একটি সেমিনার করে দেশবাসীকে জানিয়ে দেয়। ফলে সস্তা শ্রমের বিষয়টি মাথায় রেখে, আবার মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা কঠিন হয়ে পড়ে। অবশ্য শুরু থেকেই শ্রমিক সংগঠনগুলো ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা দাবি করে আসছিল। আবার গার্মেন্টস মালিকদের বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কে গুঞ্জন শোনা গেলেও তারা মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভার আগে বৈঠক করে সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা দেয়ার সামর্থের কথা জানায়। ফলে এই ত্রিমুখী প্রস্তাবের মধ্যে সম্মানজনক ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ প্রকৃত অর্থেই কঠিন চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মজুরি বোর্ডের সামনে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সব পক্ষের জন্য একটি সম্মানজনক ন্যূনতম বেতন কাঠামো ঘোষণা করা সম্ভব হয়। মজুরি বোর্ডে শ্রমিকরা ১২ হাজার টাকার প্রস্তাব দিলেও মালিক পক্ষ ৭ হাজার টাকার ওপরে উঠতে রাজি হয়নি। তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই অচলাবস্তা তৈরি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এখানে মনে রাখতে হবে, সস্তা শ্রমের ওপর ভিত্তি করেই এদেশে গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠেছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদের। তা সত্ত্বেও ভিয়েতনাম, ভারত এবং মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দ্রুত উঠে আসছে। আর ন্যূনতম বেতনের সঙ্গে রয়েছে ওভারটাইম। আবার শ্রমিক একটু দক্ষ হলে এমনিতেই তার বেতন বেড়ে যায়। তৈরি পোশাক শিল্পে এখন কয়েক লাখ শ্রমিকের ঘাটতি আছে। ফলে ভাল কাজ জানা থাকলে বেশি বেতন না দিলে অন্য কারখানায় বেশি বেতনে শ্রমিকরা চলে যায়।

সরকার সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলো নতুন কাঠামোকে স্বাগত জানালেও প্রত্যাখান করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলো। তারা ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকার সিদ্ধান্তকে অন্যায্য এবং বর্তমান বাজার বিবেচনায় সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে উল্লেখ করেছে। তাদের দাবি, সেই ১৬ হাজার টাকা। তবে সরকার সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, বেতন বাড়ায় শ্রমিকরা খুশি। তবে বেতন আর একটু বেশি হলে তারা আরও খুশি হতেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৮ হাজার টাকা করায় তারা তা মেনে নিয়েছে।

প্রতিবারই মজুরি ঘোষণার পর পক্ষে বিপক্ষে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে অবস্থান করতে দেখ যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এটাই স্বাভাবিক। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এবার মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিহাস হয়েছে। ৫১ শতাংশ মজুরি বেড়েছে। এটা রেকর্ড। অতীতে কখনও এতটা বেতন বাড়েনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের। ফলে প্রকৃত শ্রমিকেরা বেতন বাড়ায় খুবই খুশি।

যদিও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, টাকার অঙ্কে মজুরি বাড়লেও শ্রমিকের ‘প্রকৃত মজুরি’ বাড়েনি। ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সমন্বয় করলেই তা ৭ হাজার ৯৯৯ টাকা দাঁড়ায়। ফলে সত্যিকার অর্থে মজুরি আগের মতোই রয়ে গেছে। তাই প্রজ্ঞাপন জারির আগে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার। তারা মনে করেন, শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি নয় হাজার টাকার কম হওয়া উচিত নয়। তারা মনে করেন, মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ও মাথাপিছু আয় বিবেচনা করা উচিত। ২০১৩-১৮ সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩১ শতাংশ। যদি মাথাপিছু আয় বিবেচেনা করে মজুরি বাড়নো হয়, তাহলে শ্রমিকদের বেতন হবে ৯ হাজার ৭শ’ টাকা। আবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বলছে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে যদি প্রবৃদ্ধিও বিবেচনা করা হতো, তাহলে এই মজুরি দাঁড়াত ৯ হাজার ৫শ’ টাকা। তাই ঘোষিত মজুরি ন্যূনতম মজুরির মাত্রাগুলোকে পূরণ করছে না। তাই প্রজ্ঞাপন জারির আগে অতীতের মতো এখানেও সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইতিবাচক পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা, সরকারে পক্ষ থেকে সংস্কারের মাধ্যমে এটা যেন ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করা হয়।

অর্থনীতিবিদ ও গার্মেন্টস নেতারা যে যাই বলুন না কেন, শেষ পর্যন্ত এই বেতন বৃদ্ধির বোঝা কিন্তু পোশাক কারখানার মালিকদের ঘাড়েই এসে পড়বে। তারাই জানেন, বাস্তব অবস্থাটা কি এবং কতটা তাদের সামর্থ আছে। বর্তমানে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কমপ্লায়েন্স। শ্রমিকবান্ধব মান সম্পন্ন ও ঝুঁকিমুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে গিয়ে গার্মেন্টস মালিকদের ব্যবসা ব্যয় বেড়েছে; কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রেতারা মূল্য না বাড়ানোতে তাদের আয় বাড়েনি। ফলে পোশাক কারখানার ব্যয় পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে বর্তমানে যে মজুরি রয়েছে তা দিতেই মালিকরা হিমশিম খাচ্ছে। এ সময় মজুরি বাড়ালে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যয় বহন করতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে পোশাক শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো চাপের মুখে পড়েছে মালিকরা।

তারা পোশাক শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন গার্মেন্টস মালিকরা। তারা বলছেন, নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন দিতে গিয়ে ছোট পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গত কয়েক বছর ধরেই পোশাকের মূল্য দিন দিন কমছে। বিপরীতে বেতন বাড়ছে। প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে তারা বেতন বাড়াচ্ছেন। ফলে মূল্য না বাড়লে এই টাকা কোথায় থেকে আসবে। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তারা ৮ হাজার টাকা বেতন দিতে সম্মত হয়েছেন। যদিও এটা তাদের জন্য বোঝা- তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর ওপর কথা থাকতে পারে না। অবশ্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার আগে সরকার তৈরি পোশাক রফতানির ওপর আরোপিত উৎসে কর কমিয়েছেন। গত বাজেটে কমিয়ে দিয়েছেন আয়কর। যাতে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি না হয়। এখন নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হলে ক্রেতা, শ্রমিক মালিক এবং সরকারকে একযোগে মিলে কাজ করতে হবে। সস্তা শ্রমের ওপর ভিত্তি করে এই খাত দাঁড়ালেও মনে রাখতে হবে এ খাতে প্রায় ৪৪ লাখ জনশক্তি কাজ করছে। এই বিপুল জনশক্তির কর্মসংস্থানকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে। তারপর নজর দিতে হবে রফতানি ধরে রেখে তা বৃদ্ধির ওপর। সবশেষে মজুরি নিয়ে যে যাই বলুক না কেন, প্রকৃত শ্রমিকরা কিন্তু খুশি। কারণ তাদের বেতন বেড়েছে।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৭ সালেও বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের প্রধান রফতানিকারক ছিল চীন। এ বছর পোশাক রফতানি বাবদ দেশটির আয় ১৫৮ বিলিয়ন ডলার। একই খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর সমন্বিত আয় ছিল ১৩০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে পোশাক বাজারে রফতানিকারকের তালিকায় ইউরোপীয় দেশগুলো জোটবদ্ধভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে একক দেশ হিসেবে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। আর ২৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এ তালিকার চতুর্থ থেকে নবম স্থানে আছে যথাক্রমে ভারত, তুরস্ক, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here