শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, মালিকপক্ষের চাপে সরকার পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন গ্রেডে মজুরি ঘোষণা করেছে ৮ হাজার টাকা। অথচ শ্রমিকেরা গত দুই বছর ধরে দাবি করে আসছেন ১৬ হাজার টাকা। সেই দাবিকে উপেক্ষা করে কেবল একটি গ্রেডের মজুরি যে পরিমাণ ঘোষণা করা হয়েছে তাতে শ্রমিকদের পক্ষে ওই টাকায় জীবনযাপন করা নয় না। আর মাত্র একটি গ্রেডের মজুরি ঘোষণা নতুনভাবে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু না।
অবিলম্বে সব গ্রেডের মজুরি একসাথে ঘোষণা ও পোশাক শ্রমিকদের মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে গতকাল প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন।
সমাবেশে নেতারা আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে মূল্যস্ফীতি ও বাজারদর বিবেচনা করলে ঘোষিত টাকায় শ্রমিকদের প্রকৃত আয় বৃদ্ধি পায়নি। বেসিক প্রস্তাব করা হয়েছে ৪১০০ টাকা, যেটি গতবারের তুলনায়ও কম। ৩০০০ টাকা বেসিক মোট মজুরির ৫৬.৬০%। আর ঘোষিত ৪১০০ টাকায় হয় মোট মজুরির ৫১.২৫%। বেসিক কম হলে শ্রমিকদের ওভারটাইমসহ অন্যান্য খাতেও আয় কমবে। বাসাভাড়া ২০৫০ টাকা একটি হাস্যকর প্রস্তাব। এই টাকায় শ্রমিক এলাকায় পরিবার নিয়ে কোনো ঘর নিয়ে থাকা সম্ভব নয়। ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা দরকার বাসযোগ্য ঘরে থাকবার জন্য। বক্তারা বলেন, গত ৫ বছরে বাজারে জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে কয়েক গুণ বেড়েছে।
সংগঠনের সভা প্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে সভায় সংহতি বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি প্রবীণ নেতা শাহ আতিউল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের অন্যতম নেতা ফিরোজ আহমেদ, নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন বাবু, সহসম্পাদক অঞ্জন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল শামাসহ, মুসা কলিমুল্লাহ, সেলিনা আক্তার, শাহ আলমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতা।