চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জুলাই-সেপ্টেম্বর) একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় জার্মানিতে পোশাক রফতানিতে আয় বেশি হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যায় জার্মানি। বর্তমান অর্থবছরের তিন মাসে সে ধারা বহাল থাকল। প্রায় তিন দশক ধরে তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি এবং বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এ সময় জার্মানিতে রফতানি হয়েছে ১৫০ কোটি ডলারের পোশাক। গত অর্থবছরের একই সময়ে জার্মানির তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ বেশি ছিল। ব্যবধানও ছিল প্রায় সমপরিমাণ ২ কোটি ডলার। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩১ এবং ১২৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) জার্মানিতে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৫৮ কোটি ডলার। রফতানি বেশি হয়েছে ৯ শতাংশের মতো। যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৩৫ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
কী কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জার্মানির তুলনায় পোশাক রফতানি কমছে- এ প্রশ্নে তৈরি বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার আছে। বেশ কিছু এনজিও এবং শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। এ কারণে অনেক দিন ধরেই সে দেশে পোশাক রফতানিতে গতি কম। তবে সম্প্রতি চীনা কিছু পণ্যে মার্কিন প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক্কারোপের সুযোগে দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে। নতুন নতুন ক্রেতা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এসব ক্রেতার সঙ্গে একবার ব্যবসা শুরু করা গেলে যুক্তরাষ্ট্র আবার শীর্ষ বাজার হবে।
অবশ্য, জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশের (বিজিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাতের মতে, জার্মানির শীর্ষ বাজারের মর্যাদা অব্যাহত থাকবে। কারণ ব্যাখ্যায় তিনি সমকালকে বলেন, জার্মানির বড় ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াচ্ছে।