পোশাক কারখানা সংস্কার ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা দেবে মান পরীক্ষণ ও পরিদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান ব্যুরো ভেরিতাস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেড। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে ‘ইমপ্রুভিং ওয়ার্কিং কন্ডিশনস ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে পরিচালন সহায়তা দিচ্ছে আইএলও। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার এ কর্মসূচির আওতাতেই জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন-পরবর্তী সংশোধন কার্যক্রম সমন্বয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে গঠন করা হয় রিমেডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি)।
আইএলও জানিয়েছে, পোশাক কারখানার সংস্কার কার্যক্রম সমন্বয়ে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) অধীনস্থ আরসিসিকে সহায়তা দেবে ব্যুরো ভেরিতাস। পোশাক কারখানা সংস্কারে আইএলওর আরএমজি প্রকল্পের আওতায় এ সহায়তা কর্মসূচিটি পরিচালিত হবে। চুক্তির অধীনে ব্যুরো ভেরিতাস আরসিসিকে ইঞ্জিনিয়ারিং কেস ম্যানেজমেন্ট ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার বিদ্যমান সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারকে সহযোগিতা করবে প্রতিষ্ঠানটি, যা পরবর্তী সময়ে আরসিসিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি ইউনিটে রূপান্তরের মাধ্যমে শিল্প-নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা রাখবে বলে আইএলওর দাবি।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পৌতিয়াইনেন এবং ব্যুরো ভেরিতাস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক উমেশ যাদব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সামছুজ্জামান ভুইয়া ও আরসিসি প্রকল্প পরিচালক আমিনুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি প্রসঙ্গে ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সামছুজ্জামান ভুইয়া বলেন, আমরা আশা করছি ব্যুরো ভেরিতাসের মাধ্যমে আরসিসি অতিরিক্ত সক্ষমতা অর্জন করবে, যা কারখানার সংস্কার কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করবে।
বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পৌতিয়াইনেন বলেন, চুক্তিটির মাধ্যমে জাতীয় উদ্যোগের আওতায় থাকা কারখানাগুলোকে দ্রুত নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে পরিণত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি আরসিসিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি ইউনিট হিসেবে উত্তরণেও এ চুক্তি সাহায্য করবে।