Home Bangla Recent মজুরি বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে জরিপ করছেন পোশাক ক্রেতারা

মজুরি বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে জরিপ করছেন পোশাক ক্রেতারা

দুই ক্রেতা জোট ইউরোপভিত্তিক অ্যাকর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যালায়েন্সের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সংস্কারের বড় ব্যয় এবং নতুন করে বর্ধিত মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা প্রতিনিধি। একই সঙ্গে নূ্যনতম মজুরি বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে ক্রেতা ও ব্রান্ড জরিপ চালাবে বলেও জানিয়েছেন তারা। রাজধানীতে পোশাক খাতের ওপর আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানান তারা।

গুলশানের হোটেল লেকশোরে গতকাল সোমবার এ সেমিনারের আয়োজন করেছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এসএনভি। ‘পোশাক খাতে প্রজনন ও স্বাস্থ্য অধিকারের (এসআরএইচআর) নিশ্চয়তায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের এসআরএইচআরবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি ড. অ্যানি ভেস্টজেনস।

পোশাকের দর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফ্রান্সভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওসান রিটেইল ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার সাইফুল আলম মল্লিক বলেন, মজুরি বাড়ানোর ফলে পোশাক খাতের সরবরাহ চেইনে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে অনেক ক্রেতা এবং ব্র্যান্ড নিজস্ব উদ্যোগে জরিপ করছে।

ডিআইএফই মহাপরিদর্শক জানান, কারখানায় ডে কেয়ার কিংবা চিকিৎসা এরকম অনেক কিছুই মানসম্পন্ন নয়। লোকবল সংকট নিয়ে তারা এ বিষয়ে যতদূর সম্ভব নজর দিচ্ছেন। ড. ভেস্টজেনস বলেন, এসআরএইচআর বিষয়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা এখনও সন্তোষজনক মানে পৌঁছেনি। এসএনভির ওয়ার্কিং উইথ উইম্যান প্রকল্পের টিম লিডার ফারথিবা খান বলেন, এসআরএইচআর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে কারখানার মালিক এবং ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে কাজ করছেন তারা। প্রকল্পের উপদেষ্টা জামাল উদ্দিন কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেমিনারে জানানো হয়, এসআরএইচআর সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ৬৩ শতাংশ শ্রমিক আক্রান্ত। এদের ২০ শতাংশ কারখানায় অনপুস্থিত থাকে। এ কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে বছরে ১২৭ কোটি টাকার রফতানি হারায় পোশাক খাত। অথচ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবায় ১ ডলার ব্যয় করলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ৩ ডলার পর্যন্ত রফতানি বাড়ে। এ বিষয়ে কারখানা মালিক ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, আলফা ক্লোদিংয়ের প্রতিনিধি গীতা পোয়ামি, লুবিস্তা ফার্মার ব্যবস্থাপক আয়নাল হক। পিউ লাইট ক্যাসেলের প্রতিনিধি বিজন ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাপারেল সোসাইটির প্রতিনিধি আবদুল আলিম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here