তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কিছুতেই যেন পূরণ চাহিদা হচ্ছে না। বেতন বাড়লেও বাড়ছে বাড়ি ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দাম। তাই থমকে আছে তাদের জীবন মান। অথচ বাংলাদেশে প্রস্তুতিকৃত পোশাক ইউরোপিয়ান দেশ জার্মানি, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড এবং স্পেনসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের রয়েছে অন্যতম অবস্থান। এছাড়া নন-ট্র্যাডিশনাল মার্কেট হিসেবে রপ্তানি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপানসহ আরো কয়েকটি দেশেও।
দেশের ৪ হাজার ৪৮২টি গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে প্রায় চার মিলিয়ন শ্রমজীবী মানুষ। সাভারের রাস্তায় এভাবে ছুটে চলা শ্রমিকরা সেই প্রমাণই দেয় প্রতিদিন। ২০১৬-১৭ বছরের হিসেবে এই খাতে দেশের মোট রপ্তানি ছিলো প্রায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ দশমিক নয়-দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট তৈরী পোশাক শিল্পের রপ্তানি করা হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার ১৪৯ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮১ দশমিক দুই তিন শতাংশ। যার সঙ্গে শ্রমিকরা সরাসরি জড়িয়ে আছে। অথচ কিছুতেই কাটছে না শ্রমিকদের সংকট।
বেতন বৃদ্ধিকে শ্রমিকরা সমন্বয়ন বলছেন। এতে সুবিধা আর সুযোগের নাগাল পাচ্ছেন না তারা। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে আত্মপ্রকাশ করতে দরকার মোট জিডিপি দরকার ৮ শতাংশ। যা পোশাক শিল্প রপ্তানিকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই এখনই শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় এখনই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলছেন শ্রমিকরা।