বাংলাদেশে ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ডের কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি। এই সময়ের মধ্যে সমঝোতায় আসতে অ্যাকর্ড ও সরকার পক্ষকে বলেছেন আদালত। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের
আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে অ্যাকর্ড।
এর আগে হাইকোর্ট এক রায়ে গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে অ্যাকর্ডকে নির্দেশ দেন। এ সময় পর্যন্ত সরকার গঠিত ট্রানজিশন মনিটরিং কমিটির (টিএমও) তত্ত্বাবধানে কাজ করতে বলা হয়েছিল তাদেরকে। তবে ৩০ নভেম্বরের আগেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার যুক্তি তুলে ধরে আদালতে আবেদন করে অ্যাকর্ড। এ নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা শুনানি শেষ হয়েছে।
সূত্র জানায়, পোশাক খাতের সর্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশকিছু শর্তে অতিরিক্ত সময় বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে সরকার। এসব শর্তে অ্যাকর্ড কার্যক্রম চালিয়ে যেতে রাজি কিনা, আদালত তা জানতে চেয়েছেন। তবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন এবং বড় দিনের ছুটির কারণে এ বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছেন না তারা। এ বিষয়টি তুলে ধরে আবারও সময় চাইলে আদালত ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ওই দিন অ্যাকর্ড জানাবে সরকারের শর্ত মেনে তারা কাজ করতে রাজি কিনা।
পাঁচ বছর আগে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা ও সংস্কার তদারকির লক্ষ্যে গঠিত হয় অ্যাকর্ড। মেয়াদ শেষে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও গত বছর একতরফা সিদ্ধান্তে তিন বছর মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় অ্যাকর্ড। এ নিয়ে কারখানা মালিক ও সরকার পক্ষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাদের। ইতোমধ্যে একটি কারখানার মালিক আদালতে যাওয়ার পর বিষয়টি চলে যায় আদালতের হাতে। অবশ্য একই সময়ে গঠিত আমেরিকান ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স চলতি মাসের মধ্যে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।