গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, ‘একটি মহলের’ ইন্ধনেই শ্রমিকরা এ ধরনের আন্দোলন চালাচ্ছে বলে তারা মনে করে। রোববার বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, “আগামীকাল (সোমবার) থেকে যদি আপনারা কাজে যোগ না দেন, তাহলে আপনাদেরকে কোনো মজুরি প্রদান করা হবে না। শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা অনুযায়ী কারাখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে তা কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয় সেখানে।
ওই মজুরি কাঠামোর কয়েকটি গ্রেডে বেতন কমে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকা ও আশপাশের গার্মেন্ট অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা।
আবার অনেক কারখানায় নির্ধারিত সময়ে নতুন মজুরি কাঠামো বস্তবায়ন হয়নি বলেও অভিযোগ শ্রমিকদের।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি কাঠামোর ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে যদি কোনো সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা বিবেচনার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে সরকার গঠিত ত্রি-পক্ষীয় কমিটি।
“আজ বিকাল ৩টায় মন্ত্রণালয়ে এ কমিটির বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের মেনে নিতে হবে। এর পরেও যদি কেউ কাজে যোগ না দেয়, তাহলে শ্রমআইন অনুযায়ী তাদের বেতন দেওয়া হবে না।”
অনেক কারখানায় নতুন মজুরি কার্যকর না করার অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যেসব কারখানায় মজুরি কাঠামো বস্তবায়ন হয়েছে, সেখানেই বিক্ষোভ হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “শ্রমিক বিক্ষোভের পেছনে কারা আছে, তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার। এরা দেশীয় হতে পারে, বিদেশিও হতে পারে। যেখানেই আমরা উপরে ওঠার চেষ্টা করি, তখনই একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।”
অন্যদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ পরিচালক আবু নাছের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।