গত কয়েকদিনের মতো শনিবারও ঢাকার কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভে নামে। তবে পুলিশের তৎপরতায় দুপুর নাগাদ সড়ক ছেড়ে উঠে যায় শ্রমিকরা। ভাষানটেকের তামান্না গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সকালে সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। ভাষানটেক থানার ওসি মুন্সি সাব্বির আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করছিল। তাদের বুঝিয়ে ওঠানো হয়েছে।” একই সময় শেওড়াপাড়ার কয়েকটি কারখানার শ্রমিরাও সড়কে নেমে পড়েন। তাদের অবস্থানের কারণে রোকেয়া সরণিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিরপুর থানার ওসি দাদন ফকির তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, শ্রমিকদের শান্ত করতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুপুর নাগাদ এই শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
বেলা ১২টার দিকে গাবতলীর কাছে টেকনিকালে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিলে সাভারমুখে গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সরকারি বাংলা কলেজের কাছে সেখানে সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে তৎপর হয় ছাত্রলীগের স্থানীয় একদল নেতা-কর্মী। তারা শ্রমিকদের সড়ক থেকে তুলে দিলে বেলা পৌনে ১টার দিকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী চলতি জানুয়ারি মাস থেকে নতুন হারে বেতন দেওয়া শুরু হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, নতুন কাঠামোয় বেতন প্রত্যাশা অনুযায়ী পাননি তারা। কারও কারও ক্ষেত্রে বেতন আগের চেয়ে কমে গেছে।
প্রাপ্য বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসার পর নতুন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মজুরি কাঠামো পুনর্মূল্যায়নে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি গত বৃহস্পতিবার প্রথম সভাও করেছে।
পোশাক শ্রমিকদের জন্য গত বছর ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোর সাতটি গ্রেডের মধ্যে যে তিনটি গ্রেড নিয়ে আপত্তি এসেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সমন্বয়ের আশ্বাস দিয়েছেন কমিটির প্রধান শ্রম সচিব আফরোজা খান।
শ্রমিকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, কোনো শ্রমিকের বেতনই কমবে না।