সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে গত বছরের শেষ ছয় মাসে দেশের গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। আগে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন থেকে প্যাকেজিং পণ্য আমদানি করতে হতো। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উল্টো ১০০ কোটি ডলারের পণ্য বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। আরো সহায়তা পেলে ২০২১ সাল নাগাদ এ খাত থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব।
১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠেয় ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ, প্যাকেজিং এক্সপো (গ্যাপক্সেপো)-২০১৯ উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রদর্শনীর আয়োজক বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি আব্দুল কাদের খান। সহ-আয়োজক জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী টিপু সুলতান ভূঁইয়া, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক নন্দগোপাল কে. প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএপিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশে সব ধরনের কমপ্লায়েন্স মেনেই নতুন নতুন কারখানা গড়ে উঠছে। পুরনোরাও যেন এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধার দাবি জানাচ্ছি।
যেসব কারখানা কমপ্লায়েন্সের আওতায় নেই, তাদের জন্য একটি তহবিলের ব্যবস্থা করা উচিত। এ শিল্পের বিকাশের জন্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের দাবি জানান তিনি। এছাড়া ইউটিলাইজেশন পারমিশনের জন্য রাজস্ব বোর্ডের নিয়ম সহজ করার কথাও বলেন তিনি।
নন্দগোপাল কে. বলেন, মজুরি বৃদ্ধি বর্তমানে পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই কম মূল্যে উৎপাদনের নীতি থেকে বেরিয়ে আমাদের এখন উচ্চ উৎপাদনশীলতা ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
গ্যাপক্সেপোর পাশাপাশি আইসিসিবিতে ‘গার্মেন্টেক বাংলাদেশ ২০১৯’, ‘ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক সোর্সিং ফেয়ার’, ‘প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০১৯’ শীর্ষক আরো তিনটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। গার্মেন্টেকে আন্তর্জাতিক মানের সুইং, নিটিং, এমব্রয়ডারি, লন্ড্রি, ফিনিশিং ডায়িং, ক্যাড/কাম, প্রিন্টিং, কাটিং ও স্প্রেডিং মেশিনারি প্রদর্শিত হবে। দশমবারের মতো অনুষ্ঠেয় ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক সোর্সিং ফেয়ারে বিভিন্ন কোম্পানি প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সুতা এবং ওভেন ও নিট শিল্পের জন্য মিশ্র সুতার সর্বাধুনিক সংগ্রহ প্রদর্শিত হবে। প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং প্রদর্শনীতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, পণ্য ও প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে।
এদিকে প্রদর্শনী চলাকালে বিজিএপিএমইএ দ্বিতীয়বারের মতো রফতানি ট্রফি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহত্ ও সরাসরি রফতানি ক্যাটাগরিতে এ ট্রফি দেয়া হবে।