Home Bangla Recent তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান

তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান

তৈরি পোশাকের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক : আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর

বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছেন, উপযুক্ত মজুরি পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিক ইচ্ছায় এবং তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। শ্রমিকের বেতন বেড়েছে, কারখানাগুলো নিরাপদ হয়েছে। দেশে একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি রোববার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত আইএলওর কান্ট্রি ডিরেকটর এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

টিপু মুন্শি বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোর কাজের পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আইএলও’র পরামর্শে শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করা হয়েছে। কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করতে মালিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। শ্রমিকের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে ব্যয় আরও বেড়েছে। কিন্তু তৈরি পোশাকের ক্রেতারা সে অনুপাতে পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছে না। আইএলও তৈরি পোশাকের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। শ্রমিকের কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তরিক। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করতে ন্যাশনাল ইনেসিয়েটিভ, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আমরা বিশ^াস করি, রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। বাংলাদেশ আইএলও’র সহযোগিতা পেয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশ আইএলওকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাবে।

আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেকটর বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের শ্রমক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। আগামীতে এ অবস্থার আরও উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আইএলও বিশ^াস করে, কোনো সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার মাধমে সমাধান সম্ভব। শ্রমিকের কাজের দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির জন্য বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আরও অবদান রাখতে পারে। আইএলও বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ হয়েছে, গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে, শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। তৈরি পোশাকের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ ক্রেতাদের নিয়ে তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিলে আইএলও কারিগরি সহায়তা ও সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here