সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিকল্পনার অভাব আর দুর্বল অর্থনৈতিক কূটনীতির কারণে চামড়া রফতানির বাজারে বারবার হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সংকট উত্তরণে নীতি কাঠামোর পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে মালিকপক্ষের মানসিকতায়ও। তবে বিসিকের সক্ষমতার অভাবেই বিপাকে পড়েছে চামড়া শিল্প, এমন দাবি করে সব সমস্যার সমাধানে নতুন সরকারেই আস্থা রাখছেন ট্যানারি মালিকরা।
কাঁচামালের সহজলভ্যতার পাশাপাশি মূল্য সংযোজনের হিসেবে কোন একটি নির্দিষ্ট খাত থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি আয়ের অন্যতম বড় উৎস দেশের চামড়া শিল্প। কিন্তু এ সত্য শুধু কাগজে কলমেই, বাস্তবতা হলো, নানা ধরনের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন প্রতি মাসে আমদানি করছে প্রায় ৫০ লাখ বর্গফুট চামড়া।
অথচ, প্রতি বছর দেশে উৎপাদিত ২২ কোটি ঘনফুট চামড়ার প্রায় অর্ধেকই ব্যবহৃত হচ্ছে না রফতানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনে। যার পেছনে চামড়ার আন্তর্জাতিক ক্রেতাজোট লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ-এল ডব্লিউ জির ছাড়পত্র না থাকাই মূল কারণ। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, সাভারে নতুন শিল্পনগরীই পারত সব সংকট সমাধান করতে, যদিও তাদের দাবি বিসিকের গাফিলতিতে সংকট বেড়েছে আরও। তবে, শিল্পের অনগ্রসরতার পেছনে সরকারের অর্থনৈতিক কূটনীতির ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা, পাশাপাশি মালিকপক্ষের চিন্তাধারায়ও পরিবর্তন আনার আহ্বান তাদের। ২০২১ সালেই চামড়া রফতানি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের। যদিও শিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তিন বিলিয়ন ডলার রফতানি হলেও তা বিবেচিত হবে বড় সাফল্য হিসেবেই।