প্যারিসের টেক্সওয়ার্ল্ড প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের উপস্থিতি নজরে আসার মতো। গত সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের লিবারগেটে বস্ত্র ও পোশাকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ‘ফ্যাশনে পরীর দেশ’ ব্যানারে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জার্মানিভিত্তিক প্রদর্শনী প্রতিষ্ঠান মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট। সুবিশাল ১০টি প্রদর্শনী হলে টেক্সওয়ার্ল্ড ছাড়াও অ্যাপারেল সোর্সিংসহ মোট ৬টি প্রদর্শনী চলছে একই সঙ্গে। তবে বাংলাদেশ শুধু অ্যাপারেল সোর্সিং এবং টেক্সওয়ার্ল্ডে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ১৮টি অ্যাপারেল সোর্সিংয়ে এবং ১১টি টেক্সওয়ার্ল্ডে। মোট ২৯ প্রতিষ্ঠান এবারের এ আয়োজনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। এর মধ্যে ইপিবির উদ্যোগে যোগ দিয়েছে ১৫ প্রতিষ্ঠান। বাকিরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসেছেন মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নাজনীন সালাহউদ্দিন সমকালকে জানান, বিশ্ব আসরে নিজেদের পণ্যের মান ও অবস্থান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রদর্শনী একটা বড় সুযোগ। প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা বিভিন্ন দেশের পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান। এতে নিজেদের পণ্য বিশ্বমানে উন্নীত করা সহজ হয়। প্রদর্শনীতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অংশ নেওয়া জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্সের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের সমকালকে জানান, চীন-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক্ক লড়াইয়ের সুবাদে এবারের প্রদর্শনীতে গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। পুরনোরাও ব্যবসা বাড়াতে চান। ইপিবির ব্যবস্থাপনায় প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া অ্যাডাম স্টাইলস প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল হক মুকুল সমকালকে বলেন, নতুন অনেক ক্রেতা আসছেন। আগের ক্রেতাদের সঙ্গেও নতুন করে এই প্রদর্শনীতে আলোচনা হয়েছে। তিনি মনে করেন, প্রদর্শনীতে এলে ক্রেতাদের মনোভাবও জানা যায়।