রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-জানুয়ারি) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২ হাজার ৪১৮ কোটি (২৪.১৮ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। এই অংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আয় বেশি এসেছে ১৪.৩৯ শতাংশ। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি অর্থ দেশে এসেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৯৬ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪.৩৯ শতাংশ বেশি। এই ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৭.৯১ শতাংশ।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল দুই হাজার ২৪০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত বছরের এই সাত মাসে আয় হয়েছিল দুই হাজার ১৩২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে ৩৬৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্য ধরা ছিল ৩৬২ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত বছরের জানুয়ারিতে আয় হয়েছিল ৩৪০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এ হিসাবে জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১.৫৯ শতাংশ। বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। আমরা এখন বেশি দামের পোশাকও রপ্তানি করছি। নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ করছি আমরা।
সার্বিকভাবে সবকিছুই এখন আমাদের অনুকূলে। সে কারণেই বাড়ছে রপ্তানি আয়। অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
ইপিবি’র তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই-জানুয়ারি সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩.৬১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৫১ শতাংশ। অর্থাৎ ২৪.১৮ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২০.২৮ বিলিয়ন ডলারই এসেছে এ খাত থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে এক হাজার ১৪ কোটি ৫ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.৮৬ শতাংশ। উভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে এক হাজার ৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ১৫.১৮ শতাংশ। নিটে লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়ে গছে ৯.২৯ শতাংশ। আর উভেনে ৬.০৫ শতাংশ। অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১.০৩ শতাংশ বেশি। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে রপ্তানি আয় ১১.৭১ শতাংশ কমেছে। এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। একইভাবে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪.৬৬ শতাংশ কম।