তৈরি পোশাক খাতের ইউরোপের ক্রেতা জোট সংস্থার এ দেশীয় ১৭টি কারখানায় পরিদর্শনে দেখা যায়, ৩৫টির বয়লারই ত্রুটিপূর্ণ। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অ্যাকর্ড গত বছর সেপ্টেম্বরে তার সদস্য কারখানাগুলোর বয়লার পরিদর্শনের একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়। এতে তিন ধাপে ওই ১৭টি কারখানার বয়লার পরিদর্শন করা হয়। গত সপ্তাহে অ্যাকর্ডের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারখানা পরিদর্শনের সময় বয়লারের হাউড্রোস্ট্যাস্টিক চাপ ও এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়। এ ছাড়া একটি বয়লারের অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের ত্রুটি সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষা করে দেখা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বয়লারে বয়লারের প্রেসার ভাল্ব, অপর্যাপ্ত প্রেসার মনিটরিং এবং বৈদ্যুতিক তারের ত্রুটি ছিল লক্ষণীয়। এর ফলে বয়লার কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে না। এ ছাড়া ৩৫টি বয়লারের ১৯টির সব পর্যায়ে ত্রুটি থাকলেও সরঞ্জামের অভাবে তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এর মাত্র ৫৪ শতাংশের ত্রুটি পরীক্ষার কাজ করা সম্ভব হয়েছে। তাই ওই বয়লারগুলো ব্যবহার না করে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাঁচটি বয়লারের কোনো মান সনদ নেই উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রধান বয়লার কর্মকর্তার মানসনদ নেই। যেগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি। বয়লার এভাবে বিক্রি, কারখানায় স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় ওই চারটি কারখানাকে তাদের বয়লার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।